Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কাগজের ঠোঙা বানিয়ে ৫০০ টাকা আয় করেন সঞ্জয় দত্ত!

বিনোদন ডেস্ক

জানুয়ারি ১০, ২০২২, ০৯:০০ এএম


কাগজের ঠোঙা বানিয়ে ৫০০ টাকা আয় করেন সঞ্জয় দত্ত!

বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব সঞ্জয় দত্ত। বারবার আইন ভেঙে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সুনীল দত্ত ও নার্গিস পুত্র। আশির দশকে ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়া থেকে, কেরিয়ারের পরবর্তী ধাপে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে টাডা আইনে সঞ্জুবাবার ঠাঁই হয়েছিল জেলে। কেরিয়ারে অসংখ্য চড়াই-উতরাই দেখেছেন সঞ্জয় দত্ত। 

জানেন কি জেলে থাকাকালীন কাগডের ঠোঙা বানিয়ে দিন কাটত সঞ্জয়ের, আর সেই ঠোঙা বানিয়ে ৫০০ টাকা রোজগারও করেছিলেন মুন্নাভাই। 

পুরোনো এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে একথা ফাঁস করেছিলেন খোদ সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৩ সালে বেআইনি অস্ত্র রাখবার অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে। এই অপরাধে ২০০৭ সালে টাডা আদালত পাঁচ বছরে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় অভিনেতাকে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। এরপর ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলেই কেটেছে অভিনেতার। আরাম-বিলাসিতায় মোড়া জীবন ছেড়ে জেলের কুঠুরিতে দিন গুজরান সহজ ছিল না সঞ্জয় দত্তের কাছে। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি। 

২০১৮ সালে 'এন্টারটেনমেন্ট কি রাত' অনুষ্ঠানে এসে জেলে কাটানো সময়ের কথা জানিয়েছিলেন সঞ্জয়। সঞ্চালক টিসকা চোপড়াকে সঞ্জু বাবা বলেন পুরোনো খবরের কাগজ কেটে ঠোঙা বানানোর গল্প। 

তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা ঠোঙা তৈরি করতেন তিনি, ঠোঙা পিছু মিলত ২০ পয়সা। সাড়ে তিন বছর জেলে থেকে মোট ৫০০ টাকা আয় করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কী করলেন তিনি?

সঞ্জয় দত্ত বলেছিলেন, সব টাকাই তিনি ২০১৬ সালে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্ত্রী মান্যতার হাতে তুলে দেন। সঞ্জয় যোগ করেন, ‘এই উপার্জনটা আর কোথাও আমি করতে পারতাম না, এই ৫০০ টাকার মূল্য আমার কাছে ৫০০০ কোটির চেয়েও বেশি’। 

জেলের ভিতরে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সময় কাটানোটা খুব জরুরি। সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন অভিনেতা। তার কথায়, ‘জেলের অভিজ্ঞতা যেন ইতিবাচ হয়, সেখানে নতুন কিছু শেখো। তোমার সঙ্গে কী ঘটল, কেন ঘটল- সেই সব পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে লাভ নেই’। 

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বমহিমায় বলিউডে ফিরেছেন সঞ্জয় দত্ত। চলতি বছর মুক্তির অপেক্ষায় তার চারটি ছবি- ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘শামসেরা’, ‘দ্য গুড মহারাজ’ এবং কন্নড় ছবি ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’। 

সুত্র-হিন্দুস্তান টাইমস

আমারসংবাদ/এডি