জানুয়ারি ১০, ২০১৬, ০৮:১৬ এএম
পর্নো দেখেন না এরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ যদিও অনেকেই সে কথা স্বীকার করতে চাইবেন না৷ এই প্রতিবেদনে পর্নোগ্রাফি নিয়ে এমন ১০টি তথ্য জানানো হল, যা অনেকেরই অজানা৷
১. প্রথম পর্নো: মনে করা হয়, বিশ্বের প্রথম পর্নো মুভি মুক্তি পেয়েছিল ১৮৯৬ সালে৷ পরিচালক অ্যালবার্ট কির্চনারের তৈরি নির্বাক পর্নো মুভিটির নাম ছিল, 'লে কুচার দা লা মারি', ইংরেজিতে তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বেডটাইম ফর দা ব্রাইড৷ সিনেমাটি মাত্র ৭ মিনিটের, কিন্তু সেই সিনেমার অধিকাংশ রিল নষ্ট হয়ে গিয়েছে এখন৷ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের রিল৷
২. পর্নো ইন্ডাস্ট্রি গেমিং ইন্ডাস্ট্রির চেয়েও বড়: বিশ্বজুড়ে পর্নের ব্যবসা ছড়ানো ৯৭ বিলিয়ন ডলারের৷ যার মধ্যে ১০-১২ বিলিয়ন ডলার আয় হয় শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই৷ গেমিং ইন্ডাস্ট্রি দুনিয়াজুড়ে ব্যবসা করে ৯৩ বিলিয়ন ডলারের৷
৩. পর্নের আঁতুড়ঘর লস অ্যাঞ্জেলস: লস অ্যাঞ্জেলসের সান ফার্নান্দো পর্নো সিনেমা তৈরির আঁতুড়ঘর৷ ২০১২ সালে একটি আইন পাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলসেই সবথেকে বেশি পর্নো শ্যুট হত৷ ওই আইনে বলা হয়, সমস্ত পর্নো মুভিতে কন্ডোমের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ তারপর থেকেই পর্নো নির্মাতারা লস অ্যাঞ্জেলসের বদলে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভেদায় পর্নো তৈরিতে মনোযোগ দেন৷ সেখানে শ্যুটিংয়ের অনুমতি পাওয়া এখন বেশি সহজ৷
৪. মহিলাদের আয় বেশি: পর্নো ইন্ডাস্ট্রি এক এমন ইন্ডাস্ট্রি যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি আয় করেন৷
৫. পর্নোগ্রাফাররাই ঠিক করে দেন ফরম্যাট: হলিউডি সিনেমার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি পর্নো মুভি তৈরি হয় প্রতি বছর৷ পর্নোগ্রাফাররাই ঠিক করে দেন কোন ফরম্যাটে হলিউড সিনেমা দেখানো হবে৷ এখন যেমন সোনি 'ব্লু রে' প্রযুক্তির ব্যবহার বেশি৷ কয়েকবছর আগেও 'এইচডি-ডিভিডি' ফরম্যাটে পর্নো শ্যুট হত৷ কিন্তু 'ব্লু রে' প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেজোলিউশন আরও ভাল হয় বলে এখন ওই ফরম্যাটেই বেশি পর্নো শ্যুট হয়৷
৬. 'ফ্লাফার্স'-এর ব্যবহার: যে সব পর্নের শ্যুটিং কয়েক ঘন্টা ধরে চলে, সেখানে পুরুষদের উত্তেজনা ধরে রাখতে অতিথি শিল্পী ভাড়া করা হয়, তাদের বলে 'ফ্লাফার্স'৷
৭. 'গে' পর্নে রোজগার বেশি: পুরুষশিল্পীরা পর্নো মুভিতে কম উপার্জন করেন বলে তাঁরা 'গে' পর্নে অভিনয় করতে বেশি উৎসাহ দেখান৷ পুরুষ-নারীর পর্নের চেয়ে তিনগুন বেশি উপার্জন হয় 'গে' পর্নে অভিনয় করলে৷
৮. স্তন বড় না হলে শ্যুট মানা: অস্ট্রেলিয়ায় মহিলাদের স্তন বড় না হলে তাঁরা পর্নে অভিনয় করতে পারেন না৷
৯. পুরুষ শিল্পীদের ড্রাগের ডোজ: পর্নে যে পুরুষশিল্পীরা অভিনয় করেন, তাঁরা আরও বেশিক্ষণ বীর্য ধরে রাখার জন্য 'ক্যাভারজেক্ট' নাম এক ধরনের ড্রাগ ব্যবহার করেন৷
১০. সবচেয়ে সুরক্ষিত পর্নো ওয়েবসাইট: যে কোনও সাধারণ ওয়েবসাইটের চেয়ে পর্ন ওয়েবসাইটগুলি কয়েকগুন বেশি নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া থাকে, যা 'হ্যাক' করা প্রায় অসম্ভব৷