মার্চ ৭, ২০১৬, ০৪:২৫ এএম
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর রাজা বসন্ত ঋতু। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিত বসন্তকাল। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বসন্তের শুষ্ক আবহাওয়ায় যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার।প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে দৈনন্দিন জীবনে ঘটমান বসন্ত স্মৃতি ও অনুভূতি জাগ্রত হয়ে থাকে। প্রকৃতির অমোঘ পরিবর্তনের ধারায় আপন মহিমায় বসন্ত আসে আবেগঘন ও বর্ণিল আনন্দবার্তা নিয়ে, আর গাছের কচি ডালে নতুন পত্রপল্লব হয়ে ওঠে সুশোভিত।
গাছে গাছে ফুলের সমাহার আর আমের মুকুলের গন্ধে যেন ভরে যায় প্রাণটা। গ্রামের সেই শিমুল গাছটা যেটা সারাবছর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে সেটাও ছেঁয়ে যায় লাল টুকটুকে ফুলে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই গাছই এক সময় আগুন ঝরা রূপে প্রস্ফুটিত হবে। সুরভিত সমীরণে গানের পাখি কোকিলের মনকাড়া মধুর কণ্ঠে উচ্চারিত সুমধুর গান। আম্রকাননে কোকিলের কুহু কুহু সমধুর সুরে সব ঘুমন্ত হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে। সব মিলিয়ে যেন এক সপ্নের স্বর্গরাজ্য। আর এভাবেই বসন্তের তাপদ্রোহে শীতের শ্রীহীনতাকে নিক্ষেপ করে অনেক দূরে।
গ্রাম্য পরিবেশে না থাকলে যেন বসন্তের এই মনকাড়া সৌন্দর্য্য টা উপভোগ করা যায়না। স্বপ্নীল সকাল আর লেবু ফুলের ঘ্রাণে স্মৃষ্টি হয় একটি নতুন পরিবেশ। ফাল্গুন-চৈত্রের এই বিমোহিত রুপ সবই যেন বসন্তকে ঘিরে। আর তাই বসন্তকে বরণ করতে কবি লিখেছেন:-
“হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,
বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?”
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-
“দখিন দুয়ার গেছে খুলি?
বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?”
কিন্তু বসন্তের এই সৌন্দর্য টা যেন খুব অল্পসময়ে ফুরিয়ে যায়। তাই আবার অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করতে হয় বসন্তের জন্য। কবে আসবে সেই বসন্ত...?