প্রিন্ট সংস্করণ
অক্টোবর ২১, ২০১৭, ১০:০৬ এএম
রফিক সাহেব একটি ফ্যাক্টরী করবেন এর জন্য মেশিনারী দরকার সেই কিনতে চাই আলিবাবা থেকে কিন্ত টাকা কিভাবে দেবেন তাই নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলেন। তামান্না ইসলাম তার শিশুর জন্য দুধ কিনবেন অ্যামাজান থেকে সেই ভাবছেন কি ভাবে টাকা টা তাদের দেবেন আর এদিকে নুর আলম ছোট্ট ব্যাবসা করছেন পন্যর বিক্রি জন্য বিজ্ঞাপনের দেবেন ফেসবুকে কিন্তু পারছেন না। কারণ ফেসবুক তো টাকা নেই না তাহলে কি ভাবে এই তিন জনের সমস্যা সমাধান হবে! সমাধান অবশ্যই হবে সেটা হলো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা দিয়ে-আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে লিখেছেন - জিয়া উল ইসলাম
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কী
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে হল এমন একটি অনলাইন সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনার গ্রাহক তার ক্রেডিট, ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকই এর মাধ্যমে আপনাকে যে কোন জায়গা থেকে সশরীরে না এসে পেমেন্ট করতে পারবে, কাস্তমারকে আপনার কাছে আসতে হবে না এবং এই পেমেন্ট আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি উঠাতে পারবেন। উন্নত দেশে সকল প্রকার কেনাবেচা এখন আনলাইনে হয়ে থাকে এবং সকল প্রকার পেমেন্ট তারা অনলাইনে গ্রহন করে থাকে । বা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে এমন একটি মাধ্যম যাতে আপনি অনলাইনে ডিজিটাল ফরম্যাটে লেনদেন করতে পারেন। মাচেন্ট হিসেবে আপরি গ্রাহকের কাছ থেকে পন্য বা সেবার মূল্য গ্রহণ করতে পারেন। আর গ্রাহক তার ক্রেডিট , ডেবিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এর সাহায্যে আপনাকে যেকোন স্থান থেকে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। এটা নিরাপদ ও স্বচ্চন্দ কারণ ২টি পক্ষের মাঝখানে ব্যাংক পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করছে।অনলাইনে পেমেন্ট গ্রহণ বা পেমেন্ট প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী রয়েছে অসংখ্য পেমেন্ট প্রসেসর বা পেমেন্ট গেটওয়ে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যেসকল পেমেন্ট প্রসরের নাম সর্বাগ্রে বলতে হয় তা হলো- Paypal, Payza, PerfectMoney, Payoneer, Neteller, Skrill, Bitcoin ইত্যাদি।
পেপ্যাল (PayPal )
পেপ্যালের বর্তমান প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয় ২০০০ সালে কনফিনিটি এবং এক্স ডট কমের একত্রীকরণের মাধ্যমে ম্যাক্স লেভচিন, পিটার থিয়েল এবং লুক নসেক ১৯৯৮ সালে কনফিনিটি স্থাপন করেন মূলত পাম পাইলটের আর্থিক লেনদেন সুবিধা ও গুপ্তসঙ্কেত সেবা প্রধানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে। এলন মাস্ক ১৯৯৯ সনে এক্স ডট কম চালু করেন অনলাইন আর্থিক প্রিষেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এক্স ডট কম ও কনফিনিটি উভয়েই ১৯৯৯ সনের শেষভাগে তাদের ওয়েবসাইট চালু করে উভয় প্রতিষ্ঠানই পালো আলটোর ইউনিভার্সিটি এভিনিউতে অবস্থিত ছিল। কনফিনিটির ওয়েবসাইট পাম পাইলট থেকে পাঠানো অর্থপ্রদান মিলনসাধন করার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ফোকাস করা হযে ছিল। এবং এক্স ডট কম ওয়েবসাইটে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে ই-মেল অর্থপ্রদানের সঙ্গে একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে ই-মেল অর্থপ্রদানের সঙ্গে আর্থিক পরিষেবা প্রাথমিকভাবে যুক্ত ছিল।
কনফিনিটির অধিকাংশ প্রাথমিক নিয়োগপ্রাপ্তরা ছিলেন দি স্ট্যানফোর্ড রিভিউ র সদস্য, যেটিও পিটার থিয়েল শুরু করেছিলেন, আর কম্পিউটার প্রকৌশলীদের অধিকাংশই ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ আরবানা শ্যামপেনএর প্রাক্তন ছাত্র, যাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন ম্যাক্স লেভচিন। অপর দিকে এক্স ডট কম এর দিকে ইলন মাস্ক বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রযুক্তি ও ব্যবসা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নিজের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেন যাদের অবদান প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন এমি ক্লেমেন্ট, সাল গিয়ামবাঞ্চো, রোয়েলফ বোথা সেকুইয়া ক্যাপিটাল থেকে, সঞ্জয় বারগাভা এবং জেরেমি স্টপেলম্যান।স্বয়ংক্রিয়া সিস্টেম কর্তৃক প্রতারণামূলক ব্যবহার ঠেকানোর জন্য পেপ্যাল একটি পদ্ধতি ব্যাবহার করে যেখানে ব্যাবহারকারীকে একটি অস্পষ্ট ছবি দেখে তার শব্দটি সিস্টেমে প্রবশ করাতে হয়। তার এই পদ্ধতির নাম দেন গসব্যাক-লেভচিন পরীক্ষা।
ই-বে এর অনলাইন অর্থপ্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়া পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং অনলাইন নিলাম করার সঙ্গে একটি অনলাইন অর্থপ্রদান পদ্ধতির উপযোগীতা অনুভব করেছিল। ই-বে ১৯৯৯ সালের মে মাসে বিলপয়েন্ট কে কিনে নেয়, তখনো পেপ্যালের জন্ম হয়নি। ই-বে বিলপয়েন্টকে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্থপ্রদান পদ্ধতি হিসেবে অনুপ্রবেশ করায়, ‘ ই-বে পেমেন্টস’ নামে। কিন্তু শুধুমাত্র ই-বেতে নিলাম করার জন্য কেবল অর্থপ্রদানে এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখে এর অবস্থান অনেক সীমাবদ্ধ করে ফেলে। এই কারণে অনেক বেশি সংখ্যক নিলাম পেপ্যালের মাধ্যমে তালিকাবদ্ধ হয় বিলপয়েন্ট ব্যবহার না করে। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন পেপ্যালের মাধ্যমে প্রায় ২০০,০০০০ নিলাম তালিকাভূক্ত হত আর বিলপয়েন্টের মাধ্যমে মাত্র ৪০০০। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি নিলাম পেপ্যালের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত হওয়া শুরু হয়। পেপ্যাল তাদের সমস্যা কাটিযে উঠে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরে প্রথম ডট-কম কোম্পানী হিসেবে আইপিও বাজারে ছাড়ে.
পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সহায়তা দিয়ে থাকে। অননলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। একটি পেপ্যালের একাউন্ট খোলার জন্য কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পেপ্যালের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গৃহীতা পেপ্যাল কর্তৃপক্ষের নিকট চেকের জন্য আবেদন করতে পারে, অথবা নিজের পেপ্যাল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারে অথবা তার পেপ্যাল একাউন্টের সাথে সংযুক্ত ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা করতে পারে।পেপ্যাল অনলাইন বিক্রেতাদের জন্য অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, এছাড়াও অনলাইন , নিলামের ওয়োবসাইট, ও অন্যান্য বানিজ্যিক ওয়েবসাইট পেপ্যালের সেবা গ্রহণ করে যার জন্য পেপ্যাল ফী বা খরচ নিয়ে থাকে। এছাড়াও অর্থ গৃহণের জন্যেও ফী নিয়ে থাকে যা মোট গৃহীত অর্থের সমানুপাতিক হয়ে থাকে। এই ফী বা খরচ নির্ভর করে কোন দেশের মুদ্রা ব্যাবহার হচ্ছে, কিভাবে অর্থেও লেনদেন হচ্ছে প্রেরক ও প্রাপকের দেশ, পাঠানো অর্থের পরিমাণ ও প্রাপকের একাউন্টের ধরণের ওপরে। এছাড়াও, ইবে ওয়েবসাইট থেকে পেপ্যালের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে পেপ্যাল আলাদা অর্থ গ্রহণ করতে পারে যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা ভিন্ন মুদ্রা ব্যাবহার করে।২০০২ সালের ৩রা অক্টোবার পেপ্যাল বৃহৎ নিলাম সাইট ই-বের অঙ্গপ্রতিষ্টান হিসেবে মালিকানা পরিবর্তন করে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার, সান জোসে, শহরে পেপ্যালের প্রধান শাখা অফিস যা ই-বের নর্থ ফার্স্ট স্ট্রীট স্যাটেলাইট অফিসে অবস্থিত। বর্তমানে, পেপ্যাল ১৯০টি দেশে বাজারে পরিচালনা করে, এবং এইটি ২৩.২ কোটির বেশি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে, তাদের মাঝে সক্রিয়ের সংখ্যা ৮.৭ কোটির চেয়ে বেশি। পেপ্যাল ২৪ টি মুদ্রায় গ্রাহকদের অর্থ পাঠাতে, গ্রহণ করতে ও অর্থ সংরক্ষণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এই মুদ্রাগুলো হল অস্ট্রেলিযান ডলার, ব্রাজিলের রিয়েল, কানাডার ডলার , চীনের ইউযান (শুধুমাত্র কিছু চীনা একাউন্টে ব্যাবহারযোগ্য), ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, জাপানী ইয়েন, চেক ক্রোনা, ডেনিশ ক্রোন, হং কং ডলার, হাঙ্গেরীর ফ্রইন্ট, ইজরাইলের নতুন শেকেল, মালেশিয়ার রিঙ্গিত, মেক্সিকোর পেসো, নিউ জিল্যান্ডের ডলার, নরওয়ের ক্রোন, ফিলিপাইনের পেসো, পোল্যান্ডের যোলটি, সিঙ্গাপুরের ডলার, সুইডেনের ক্রোনা, সুইস ফ্র্যাঙ্ক, নতুন তাইওয়ানের ডলার, থাই ভাত এবং ট.ঝ আমেরিকান ডলার পেপ্যাল স্থানীযভাবে ২১ টি দেশে কাজ করে। ১৯৪ টি দেশের অধিবাসীগণ স্থানীয় বাজারে পেপ্যাল ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ প্রেরণ করতে পারে।
২০০৯ এর প্রথম চতুর্থাংশে পেপ্যাল রাজস্ব ছিল ৬৪৩ মিলিওন ডলার পূর্বে বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি ছিল। ২০০৯ এর প্রথম চতুর্থাংশের রাজস্বের ৪২ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। ২০০৯ সালের প্রথম চতুর্থাংশে পেপ্যালের মোট আদান প্রদানের পরিমাণ ছিল প্রায ১৬ বিলিওন যা পূর্বের বছরের প্রায় শতকরা ১০ ভাগ বেশি। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মত পেপ্যালের লেনদেনের পরিমাণ ই-বের চেয়ে বেশী হয়ে যায়। পেপ্যালের আর্থিক আদান প্রদানের পরিমাণ ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ৬০ বিলিয়ন যা বিশ্বের ই-কমার্সের প্রায় শতকরা ৯ভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্সের প্রায় ১৫ ভাগ।
বিশ্লেষকদের এক সম্মেলনে ২০০৯ সালের ১১ই মার্চ প্রধান নির্বাহী জন ডোনাহো ঘোষণা করেন যে সম্ভবত ই-বের থেকে পেপ্যাল এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠান অধিক অর্থ উপার্জন করছে।
পেপ্যাল ছাত্রদের জন্য একটি বিশেষ একাউন্ট চালু করে আগষ্ট ২০০৯ থেকে, যেখানে , পিতামাতা পেপ্যালের একাউন্ট খুলে তাতে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে এবং ছাত্র ব্যবহারের জন্য একটি নগদ (ডেবিট) কার্ড অর্জন করে। এই প্রক্রিয়াটি কিশোর তরুণদের শিক্ষা প্রদান করতে সরঞ্জাম জোগান দেয়া কিভাবে বুদ্ধিমত্তার সাথে টাকা খরচ করতে এবং তাদের কর্মফলের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে শেখায়। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে পেপ্যাল তাদের মঞ্চ বা প্যাল্টফর্ম উন্মুক্ত করে যেখানে অন্যান্য পরিষেবা পেপ্যালের কোড ব্যবহার করে পরস্পরের মধ্যে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে। পেপ্যালের প্রাতিষ্ঠানিক সদরদফতর সান জোসেতে হলেও, তাদের মূল কর্মকেন্দ্র নেব্রাস্কার ওমাহায় অবস্থিত, যেখানে তাদের প্রায় ২০০০ কর্মচারী কমর্রর আছেন ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী পেপ্যালের ইউরোপীয সদর লুক্সেমবার্গ এবং সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সদর দফতর আছে। ২০০৭ সালের অক্টোবারে পেপ্যাল ডাটা সার্ভিস কার্যালয অস্টিনের উত্তর অংশে চালু করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি কেন্দ্র খোলে আরিজোনার স্কটসডেল, এবং চেন্নাই, ভারতে।
নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নীতিমালা:
ক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসারে একজন ক্রেতা কোন পণ্য ক্রয়ের ৪৫ দিনের ভেতরে অভিযোগ করতে পারবেন যদি সেই সমযের ভেতরে পণ্য ক্রেতার কাছে না পৌঁছায় অথরবা পণ্যের বিবরণের চেয়ে যথেষ্ট ভিন্ন রকরমের হয়। যদি ক্রেতা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীর চার্জব্যাক এর মাধ্যমে অর্থ ফেরত পেতে পারেন।একই ভাবে পেপ্যালের দেয়া তথ্য আনুযায়ী তার বিক্রেতাদেরকেও বিক্রেতার নিরাপত্তা নীতিমালার মাধ্যমে সীমিত পরিমাণে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। সাধারণভাবে, বিক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালার উদ্দেশ্য হল বিক্রেতাকে কয়েক প্রকার অভিযোগ ও চার্জব্যাকের বিপরীতে সুরক্ষা প্রদান করা যদি বিক্রেতা পণ্য পৌঁছানোর প্রমাণসহ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে পারে। পেপ্যালের বক্তব্য অনুসারে বিক্রেতা নিরাপত্তা নীতিমালা গঠন করা হয়েছে বিক্রেতাদের ক্রেতাদের অননুমোদিত অর্থপ্রেরণ ও পণ্য না পৌছানোর অভিযোগের বিপরীতে সুরক্ষা প্রদানের জন্য এই নীতিমালায একটি তালিকা রয়েছে ‘বহির্ভূত’ পণ্যের যার মধ্যে রয়েছে ‘অস্পর্শযোগ্য বস্তু’, ‘পণ্যের বিবরণের সাথে পণ্যের অমিল’ এবং ‘বার্ষিক অর্থফেরতের সীমা অতিক্রম’ ইত্যাদি। নীতিমালার মধ্যে পণ্য বিক্রয়ের নিয়মের ভেতরেও আরো কড়াকড়ি রয়েছে, অর্থ প্রেরণের পদ্ধতি এবং পণ্য পৌছানোর দেশের ঠিকানাও বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত।
নেটেলার (Neteller )
Neteller একটি ই-অর্থ / ই-ওয়ালেট পরিষেবা যা মালিকানাধীন ব্রিটিশ গ্লোবাল পেমেন্ট কোম্পানি পেজাফ গ্রুপ পলিসি দ্বারা পরিচালিত এবং পরিচালিত হয।Neteller পরিষেবা ব্যবহার করা হয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার ট্রেডিং ফার্ম, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলির মতামতের জন্য এবং স্থানান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়, সরাসরি নেট + কার্ড ব্যবহার করে বা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিতে ব্যালেন্স হস্তানত করতে পারে
সৃষ্টির ইতিহাস : Neteller ১৯৯৯ সালে কানাডাতে নির্মিত হয়েছিল এবং ২০০৪ সালে । পেসেফ গ্রুপের পলকে একটি ‘অনুমোদিত ইলেক্ট্রনিক মাইন ইনস্টিটিউশন’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।২০১৫ সালে, অপটিম পেমেন্টস পিএলসি (এখন পেএসাফ গ্রুপ পলিসি) বিশ্বব্যাপী পেমেন্ট শিল্পের জন্য রূপান্তমূলক লেনদেনকে চূড়ান্ত করেছে -স্ক্রিল গ্রুপের অধিগ্রহণ, ইউরোপের বৃহত্তম অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের একটি এবং বিশ্বের বৃহত্তম স্বাধীন ডিজিটাল ওয়ালেট সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি।Neteller একটি ব্যাংক নয় এবং গ্রাহকদের তহবিল ধার না এফসিএ ই-টাকার প্রবিধানের অধীনে গ্রাহকের তহবিলগুলিকে পৃথক ট্রাস্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের করে থাকে এবং গ্রাহক ব্যালেন্স ফেরত দিতে যথেষ্ট থাকে।অনলাইন জুয়াখেলায় জনপ্রিয় নেটেলার:
নেটেলার ২ জুলাই ২০০০ সালে অনলাইন জুয়া পেমেন্টের প্রক্রিয়াকরণ শুরু করে, এটি বিশ্বের জুয়াখেলা ব্যবসায়ীদের ৮০% অর্থের জন্য অর্থপ্রদান করছিল। সেই সময় ফার্মের রাজস্বের ৯৫% ফান্ড স্থানান্তর থেকে অনলাইন গেমিং ফোরামে এসেছিল, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সাথে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাকাউন্টগুলি ফরম হিসাবে হিমায়িত হয় কারণ ফান্ডটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্থান পায় এবং ৩০ জুলাই ২০০৭ সালের পরে তহবিলের তহবিল ফিরে আসে। মার্কিন বাজার থেকে এই কার্যকর প্রস্থান এর ফলে, এবং অনলাইন জুয়া সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি, দৃঢ় বৈচিত্রতা চাওয়া হয়েছে। এই সত্ত্বেও, ২০০৬ সালে ২৮ মিলিয়ান মার্কিন ডলার থেকে নেদারল্যান্ডের ফি আয় ২০১০ সালে $ ৬১ মিলিয়ান ডলার থেকে কমে গিয়েছিল। উচ্চ টার্নওভার গ্রাহকদের নেটেলার ভিআইপি’ নামক প্রিমিয়াম সদস্যতা দেওয়া হয়। অনলাইন জুয়াটির আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি বোঝায় যে বিভিন্ন দেশে গ্রাহকগণ (আলবেনিয়া, কাম্বোডিয়া, কানাডা, হংকং, ইজরায়েল, লাওস, লেবানন, ম্যাকাও, সিঙ্গাপুর এবং তুরস্ক) জুয়া খেলোয়াদের স্থানান্তর করার অনুমতি নেই। গ্রাহকরা কোম্পানির ওয়েবসাইটে নেটেলার অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করতে পারেন। ২৬ টি প্রধান মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট স্থাপন করা যায়। একাউন্টে টাকা, ক্রেডিট / ডেবিট কার্ড অথবা প্রায় ৪০ টি অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা লোড করা যায়। এই আমানত ধরনের দেশ দ্বারা পরিবর্তিত হয়। নেটেলার অ্যাকাউন্টে অর্থের ব্যবহার, অন্য গ্রাহকের কাছে পাঠানো, অথবা খুচরা বিক্রেতা যে নেটেলার প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে মাস্টারকার্ড গ্রহণ করে অ্যাকাউন্টের একটি অংশে খরচ করে ব্যাবহার করতে পারে। অর্থ এছাড়াও ঘবঃবষষবৎ অ্যাকাউন্টের সাথে অন্যান্য বণিকদের থেকে অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত করা হতে পারে, যেমন জুয়া winnings, বীমা payouts বা ভিডিও-গেমিং ট্রেডিং আয় হিসাবে বণিক। গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তর চেক বা কোম্পানির নেট + প্রিপেড মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট-অফ-বিক্রয় এবং স্বযংক্রিয় টেলার মেশিন ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
নেট + কার্ড :
নেটেলার ২০০৩ সালে কার্ড চালু করে এবং কয়েক বছর পরে ২০০৮ সালে কার্ড পণ্য লাইনটিকে নেট + হিসাবে পুনরায লেনদেন করা হয়। নেট + নামের অধীনে মাস্টারকার্ড প্রিপেইড ডেবিট কার্ড এবং বণিক-ব্র্যান্ডযোগ্য কার্ড প্রোগ্রাম অফার করে এবং পূর্বে ভার্চুয়াল কার্ড দেওয়া হয়। ফেরত ছাড়াই নেট + কার্ড সেবা বাতিল করেছে। এই কার্ড দিয়ে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের বিল প্রদান করা যায়।
Payoneer:
Payoneer একটি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা যা অনলাইন অর্থ স্থানান্তর এবং ডিজিটাল পেমেন্ট পরিসেবা প্রদান করে। Payoneer অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা তাদের ব্যাংক একাউন্টে Payoneer e-Wallet বা একটি পুনরায় লোডযোগ্য প্রিপইড মাস্টারকার্ড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ফান্ডগুলি পাঠাতে এবং তহবিল সংগ্রহ করতে পারে যা অনলাইন বা পয়েন্ট-অফ-সেল ব্যবহার করতে পারে। কোম্পানি ক্রস-সীমান্ত ই২ই পেমেন্টের সুবিধা প্রদান করে। পেনিয়ারের প্রায় ২ কোটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অঞ্চলের প্রায় ৪০ মিলিয়ান ব্যবহারকারী রযেছে এবং ১৫০ টি স্থানীয় মুদ্রায় ক্রস সীমান্ত লেনদেন প্রদান করে যা স্থানীয় ব্যাঙ্কের স্থানান্তর করার জন্য বিশ্বব্যাপী তার ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের ব্যবহার করে। এয়ারব্যাংক, আমাজন, গুগল এবং আপওয়ার্কের মত কোম্পানিগুলি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিমাণে পেয়াই পাঠাতে পেনিয়াার ব্যবহার করে। পেওনার বিশ্বব্যাপী ইশারা, ল্যাজাদা, শোপে, সিডিস্রাক্ট, নিউইগ এবং টাহফটারের মতো ইকমার্স বাজারে ব্যবহৃত হয়। তারা বিভিন্ন সদৃশ নেটওয়ার্কগুলির সাথে কাজ করে, তাদের সদরদপ্তর দেশের বাইরে ভিত্তি করে তাদের সংস্থাগুলির নেটওয়ার্কগুলির সাথে এই সংস্থাগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এই অঞ্চলে কাজ করে এমন সংস্থার উদাহরণ সি.জে. এফিলিয়েট, ট্র্যাডেডব্লার এবং শেয়ারসেল। কন্টেন্ট তৈরির স্থানটিতে, পেওনার বিভিন্ন ধরনের গোটাইআইজেস, শাটারস্টক, পন্ড ৫, ৯৯ ডিজাইন, স্টকী, ড্রিমস্টাইম মাইক্রোস্টক, ১২৩ আরএফ.কম এবং ডেইলি মোশন এবং বিভিন্ন ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেসের মত কাজ করে। যেমন আপওযার্ক, ফিজার।কোম্পানির নিউইয়ার্ক সিটির সদর দফতর।
বিটকয়েন:
বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। তিনি এই মুদ্রাব্যবস্থাকে পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন নামে অভিহিত করেন।বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকযেন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগ ব্যাবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে নতুন বিটকযেন উৎপন্ন হয়। ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকযেনগুলো প্রত্যেক চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিযান বিটকযেন তৈরী হযে গেলে আর কোন নতুন বিটকয়েন তৈরী করা হবে না। যেহেতু বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি কোনভাবেই অনুসরণ করা যায় না তাই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বৈধ পণ্য লেনদেন ছাড়াও মাদক চোরাচালান এবং অর্থপাচার কাজেও বিটকয়েনের ব্যবহার আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেযেছে। যদিও বিটকয়েন ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে এর দর মারাত্মক ওঠানামা, দু®প্রাপ্যতা এবং ব্যবসায় এর সীমিত ব্যবহারের কারণে অনেকেই এর সমালোচনা করেন।সম্প্রতি কানাডার ভ্যানক্যুভারে বিটকয়েন এর প্রথম এটিএম মেশিন চালু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এটি বিটকয়েনকে আরও আগিয়ে নিয়ে যাবে। মাদক, চোরাচালান অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা ও অন্যান্য বেআইনি ব্যাবহার ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডীয় সরকার বিটকয়েনের গ্রাহকদের নিবন্ধনের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে।
বিটকয়েন লেনদেন:
বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। এটি কোন কেন্দ্রীয় নিকাশঘরের মধ্য দিয়ে যায় না কিংবা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারে। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরি হযে যায় যা অন্যান্য মাইনার কর্তৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে হালনাগাদ হয়।বিটকয়েন দিয়ে কোন পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার একাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকযেন দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারে, অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক চার বছর পর পর বিটকয়েনের মোট সংখ্যা পুনঃনির্ধারন করা হয় যাতে করে বাস্তব মুদ্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়। বিটকয়েনকে অনেকে ফিউচার মানি হিসেবে মনে করছে।
পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্ভব:
মূলতঃ ই কমার্সসের সূচনা হয়েছে অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে। এতে পন্য ক্রয় বিক্রয় এসেছে আরো অনেক পরে। প্রথম দিকে বি টু বি বা বিজনেস ফার্মের সাথে বিজনেস ফার্মের লেনদেন ও ব্যবসায়ের মাধ্যমে ব্যবহারিক ই কমার্স শুরু হয়। এখানে বিভিন্ন বিলিং বিশেষ করে বিমান টিকেট ক্রয়ের কথা উল্লেখ করা যায়। সেক্ষেত্রে আজ অনলাইন পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতার ব্যাংকদ্বয় লেনদেনের অংশ হওয়ার পরও আরো দুটি মাধ্যম এ পক্রিয়ায় জড়িত এক কার্ড ও পেমেন্ট গেটওয়ে। তখন এতসব আয়োজন না থাকলেও এককভাবে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এর কারণ এটা শুধু ২টি পক্ষের লেনদেন ছিলো আর ছিলো সেবা ভিত্তিক। কোন কোন ক্ষেত্রে এটা শুধু পন্য বা সেবা পছন্দ করার জন্য ব্যবহার করা হতো।জুম নিয়ে বাংলাদেশে চলছে তর্কবির্তক আসলে জুম টা কি , এটাদিয়ে কি হবে জুম এর অফিস কোথায় জুম কি পেপ্যালের মত কোন সার্ভিস চলুন জেনে নিন
জুম (xoom ):
জুম করপোরেশন, জুম, একটি পেপ্যাল সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ আদান-প্রদান অথবা বিদেশ থেকে অর্থ আনার একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫২টি দেশে অর্থ পাঠানো এবং মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। যেসব দেশে এ সেবাটি চালু আছে তারমধ্যে উঠে উল্লেখ যোগ্য দেশ হচ্ছে চীন, ভারত, ঘানা, পাকিস্তান, মেক্সিকো এবং ফিলিপাইন। এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি আরেকটি অফিস রয়েছে গুয়েতেমালা শহরে। ২০১৫ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটিকে ১.০৯ ডলারে অধিগ্রহণ করে নেয় পেপ্যাল। ২০১৫ সালের নভেম্বর এ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। জুম পেপ্যালের বিকল্প নয় বরং একটি ভিন্ন সেবা যা অনেকটা মানি এক্সপ্রেস, বা ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়নের মত। সুবিধা হল ক্লায়েন্ট পেপ্যালের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবে।বাংলাদেশে পেপ্যালের সার্ভিস না থাকায় ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট আনতে প্রায়-ই ভোগান্তিতে পড়ে থাকেন। অনেকেই ডলার রিসিভ করার জন্য মানিবুকারস, পেওনিয়ার বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করেন জুম পেপ্যালের বিকল্প নয় বরং একটি ভিন্ন সেবা যা অনেকটা মানি এক্সপ্রেস, বা ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়নের মত। সুবিধা হল ক্লায়েন্ট পেপ্যালের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবে।
জুম ব্যবহারের কিছু সুবিধাঃ
ক্লাইন্ট তার ব্যাংক একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও আপনাকে পেমেন্ট দিতে পারবে।ডলারের রেট ভালো পাওয়া যায়এটা খুবই কম খরচ, ১০০০ ডলারের উপরে পেমেন্ট নিলে কোন চার্জ নেই এবং তার নিচে যে কোন এমাউন্ট পাঠাতে মাত্র ৪ ডলার খরচ হবে। জুম এর মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে না। বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন এই লিংকটি (https://www.xoom.com/bangladesh/fees-fx)
জুম এর মাধ্যমে কিভাবে পেমেন্ট নিতে পারেনঃ
প্রথম ধাপে আপনার ক্লায়েন্টকে xoom.com ঠিকানাটা দিয়ে জিজ্ঞেস করুন যে সে এটা ব্যবহার করে পেমেন্ট দিতে পারবে কিনা। তারপর সে পেমেন্ট দিতে চাইলে আপনার তথ্য তাকে দিতে হবে। আপনি আপনার রেফারেল লিংক দিতে পারেন এতে আপনি ২০ ডলার বোনাস পাবেন। রেফারেল লিংক জেনারেট করতে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার যে তথ্যগুলো দিতে হবেঃ
আপনার পুর্ণাঙ্গ ঠিকানা। (নাম, গ্রাম, থানা, জেলা, দেশ)আপনার ব্যাংক একাউন্ট ইনফো(ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চ, একাউন্ট নং আপনার মোবাইল নম্বর। আপনার ই-মেইল ঠিকানা।এবার এই তথ্যগুলো নিয়ে ক্লায়েন্ট পেমেন্ট পাঠিয়ে দিতে পারবে। পেমেন্ট পাঠানোর পর আপনি একটি আইডি ই-মেইলে পাবেন। এই আইডি দিয়ে আপনি আপনার পেমেন্ট ট্র্যাক করতে পারবেন। আইডির সাথে একটি লিংক থাকবে যাতে ক্লিক করলে আপনার টাকা কোথায় আছে তা দেখাবে।
মূলত পাঁচটি ধাপে টাকা প্রসেস হয়ঃ
1. Xoom Processing Started 2. Payment Verification
3. Transfer in Progress 4. Deposit in Progress
5. and Final Deposit Update
এই পাঁচ ধাপগুলো প্রসেস হতে সময় লাগে মাত্র দুই কর্মদিবস এবং প্রায় প্রতিটি ধাপেই পনি একটি ইমেইল পাবেন। পেমেন্ট প্রসেস হলে একটা মেইল পাবেন, টাকা ডিপোজিটের জন্য রেডি হলে আরেকটা মেইল পাবেন এবং ফাইনালি টাকা লোড হয়ে গেলে আরেকটা মেইল পাবেন। লোড হওয়ার পর টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে আসার সময়টা নির্ভর করবে ব্যাংকের উপরে, এই সময়টা সাধারনতঃ ৪ থেকে ৮ ঘন্টার মত হতে পারে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ লেনদেনের সেবা পেপ্যালের জুম উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপোর দ্বিতীয় দিন সকালে এই সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রাথমিক ভাবে সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে এই সেবা চালু হচ্ছে।