Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মানুষ কেন প্রেমে পড়ে?

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুন ৮, ২০২১, ০৫:০৫ এএম


মানুষ কেন প্রেমে পড়ে?

প্রেম মানুষকে সহিষ্ণু, দরদী হতে শেখায়, আবার এই প্রেমই ভাঙেও। প্রেমের উন্মাদনায় সাত সমুদ্র পাড়ি দিতেও রাজি থাকে প্রেমিক, মৃত্যুর মতো কঠিন বিষয়কেও হার মানায় অনেক সময়। ইতিহাস সাক্ষী আছে যে শুধু প্রেমের জন্যেই ঘটেছে কত রক্তপাত-যুদ্ধ। ধ্বংস হয়েছে নগরী। 

তবে প্রেমের জন্য এত উন্মাদনা কেন? কেন মন এত উতলা হয়? কেন একজন মানুষ প্রেমে পড়ে? এর উত্তর একটাই হরমোন। 

প্রেমে পড়া বারণ, কারণে অকারণ। কিন্তু বারন করলেই কী আর প্রেমে না পরে থাকা যায়।প্রেমে পড়লে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, হাত ঘামতে থাকে, পেটের ভেতর কেমন শিরশির করে যেন একটা আরশোলা ঘুরে বেড়ায়৷ বিজ্ঞানীরা বলেছেন,  প্রেমে পরলে নারী পুরুষের শরীর থেকে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, আর তাই হাত ধরতেও ইচ্ছে করে।

তবে যে হরমোনের জন্য মন এত উতলা হয় তার নাম কী?

প্রেমে পড়লে দেহ-মনে যেসব প্রতিক্রিয়া হয় তার জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন নামের এক হরমোন৷ কোনো মানুষ বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে টেস্টোস্টেরন বাড়তে শুরু করে৷ প্রেমের ওই প্রাথমিক ধাপেই দেখা দেয় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হাত কাঁপার মতো উপসর্গগুলো৷ দেখা গেছে, প্রেমে পড়া মানুষের দেহে অন্য সব মানুষের তুলনায় টেস্টোস্টেরন অনেক বেশি থাকে!

প্রেমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে নেমে পড়ে ডোপামিন৷ এই হরমোন-এর অন্য নাম, ‘সুখের হরমোন’৷ শুধু প্রেমে পড়লেই যে এই হরমোন ক্রিয়াশীল হয় তা কিন্তু নয়, কোকেন বা সিগারেটের নেশা করলেও ডোপামিন উজ্জীবিত হয়৷ এ কারণেই অনেকে বলেন, প্রেমে পড়া আর নেশা করা একই৷

সেরোটোনিন নামে এক ধরণের হরমোন আছে যা আমাদের মনের আনন্দ আর আবেগকে স্থির রাখে৷ প্রেমে পড়লে সেরোটোনিন কমে যায়৷ ফলে প্রেমিক-প্রেমিকার আবেগ সংবরণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে৷ তারা তখন ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেনা৷

প্রেমের যে পর্যায়ে বুক ধড়ফড় করে, হাত ঘামায় তখন অ্যাড্রেনালিন নামের একটা হরমোনও খুব বেড়ে যায়৷ এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্ষুধা কমে যায়৷ কম খাওয়া-দাওয়া করার ফলে শরীর দ্রুত ভেঙে পড়তে থাকে৷

প্রেমে পড়ার তিন-চার মাস পর সাধারণত সম্পর্কে একটা স্থিতি আসে৷ তখন শুরু হয় আরেক হরমোন অকসিটোসিনের কাজ৷ এই হরমোনের কারণে দু-জনের সম্পর্কটা আরো ঘনিষ্ঠ হয়৷ প্রেমিক-প্রেমিকা যখন চুম্বন করে, তখনও দুজনের শরীরে অকসিটোসিন তৈরি হয়৷ আর এভাবেই দুজন দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পথে এগিয়ে যায়৷

তবে বুঝলেন তো কেন হাজার বারণেও প্রেম থেমে থাকে না। কেনই না প্রেমে পড়লে প্রজাপতি উড়ে মনের মাঝে। কেন মানুষ হাসে আর কেনই না কাদে। সবই এই হরমোনের খেলা।

(সুত্র-ডয়চে ভেলে)

আমারসংবাদ/এডি