Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

উদ্যোক্তা ডিআইইউ শিক্ষার্থী তামান্নার সাফল্যের গল্প

ইব্রাহিম প্রামানিক, ডিআইইউ

জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম


উদ্যোক্তা ডিআইইউ শিক্ষার্থী তামান্নার সাফল্যের গল্প

একজন দক্ষ ও সফল উদ্যোক্তার মধ্যে এমন কতগুলো গুণ বিদ্যমান থাকে, যা তাঁকে অন্য সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে দেয়। তামান্নার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না রশিদ প্রথমে ড্রেস সেলাই করতেন। এক দিন মনে হলো কাজ করে দেখি কালার ড্রেসে, সেই ড্রেসের কাজ দেখে সবাই অবাক হল। এরপর আস্তে আস্তে অর্ডার নেয়া শুরু করেন। এভাবেই উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

তামান্না জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি একজন ছোটখাটো উদ্যোক্তা। সম্পূর্ণ কাজ নিজ হাতে তৈরি করে থাকেন। তিনি হাতে আঁকা বিভিন্ন ডিজাইন নকশা তৈরি করে ড্রেসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। বড়দের পাঞ্জাবী,ছোটদের ড্রেস টিস্যু বক্স,এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো দিয়ে মাস্ক ডিজাইন করে থাকেন। ভবিষ্যতে এই ছোটখাটো ব্যবসাকে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তামান্না।

কুরিয়ার মাধ্যমে ড্রেস কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। “ফ্যাব্রিক পেইন্টিং” https://www.facebook.com/fabricpainting.org/
ফেসবুক পেজের মাধ্যামে অর্ডার নিয়ে থাকেন। 

আয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, 'মোটামুটি নিজের হাত খরচ চলার মত আয় হয়। সামনে  ফেমবুক পেইজটি প্রচারিত হলে আরও আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।'

এরকম উদ্যোগ কেউ শুরু করলে সাধারণত শুরুর দিকে নানান জনে নানান কথা বলে। তামান্নার ক্ষেত্রেও কি এরকম শুনতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একজন উদ্যোক্তার পেছনে অনেক বাঁধাই থাকে। অনেকেই পেছনে নানা ধরণের মন্তব্য করেন। কিন্তু সবকিছু অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য। আমিও সেই কাজটাই করছি। মানুষের দৈনিন্দন প্রয়োজনের কথা ভেবেই এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের প্রয়োজনে আসলে আমার হাতে বানানো ড্রেস চলবে।'