Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

অক্টোবর থেকে আবারো শুরু গণটিকাদান

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৬:১০ পিএম


অক্টোবর থেকে আবারো শুরু গণটিকাদান

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী অক্টোবর মাস থেকে আবারো গণপরিসরে টিকা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ লক্ষ্যে আগামী চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জানা গেছে, ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রতি মাসে নিয়মিত প্রায় দুই কোটি টিকা দেয়া হবে। গতকাল সোমবার এসব বিষয় জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, গণহারে শুরু হতে যাওয়া এই টিকা কর্মসূচিকে আমরা গণটিকা বলছি না। তবে ব্যাপক আকারে আমরা এই টিকা দেবো।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দুই-চার দিনের মধ্যেই আমরা জানাতে পারব কবে থেকে এই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারব। নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে পারছি না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তো এখন ক্লাস শুরু হয়েছে। আপনারা জানেন, স্কুলগুলোতে আমরা একসঙ্গে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারতাম। এখন আমাদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা করেই এরপর কাজ শুরু করতে হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প বড় জায়গা খুঁজতে শুরু করেছি। সারা দেশেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কোন উপজেলায় বড় অডিটোরিয়াম আছে, কোথায় খোলা জায়গা আছে, আমরা খুঁজতে শুরু করেছি। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যেই আমরা টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করতে পারব। এবার সারা দেশে কোন টিকা দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে এবারো সিনোফার্মের টিকাই দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আগে সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোতে মডার্নার টিকা দেয়া হলেও এবার সেগুলোতে সিনোফার্মের টিকা দেয়া হতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত আছে : এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত আছে এবং আমরা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একটি টিকা দেয়াসহ প্রায় দুই কোটি টিকা দেয়ার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচিকে আরও কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।

স্পট রেজিস্ট্রেশনে ষাটোর্ধ্বদের টিকা প্রয়োগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা গোষ্ঠী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এটা মাথায় রেখেই আমরা নতুন টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা টিকা দেয়ার সময় মাথায় রাখব যারা বয়স্ক তারা যেনো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা পান।

টিকায় ধীরগতির কারণ জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর : গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে টিকার পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও এসএমএস পাঠাতে দেরি কেন, এমন প্রশ্ন রাখা হয় অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রে দৈনিক ২০০ জনের টিকা দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও নিবন্ধন এক হাজারের বেশি মানুষের। সে ক্ষেত্রে এসএমএস আসতে একটু দেরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে টিকা নিবন্ধনের বয়স কমিয়ে আনার পর থেকেই ব্যাপক হারে টিকার নিবন্ধন করছে মানুষ। নিবন্ধনের তালিকা অনেক লম্বা ছিলো, এটি আস্তে আস্তে কমে আসছে।

নিবন্ধনকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, একটু দেরি হলেও সবাই টিকা পাবেন। এর আগে, গত ৭ আগস্ট দেশে করোনা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে টিকার ক্যাম্পেইন করা হয়েছিল। সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। সরকারের পরিকল্পনা ছিলো এক সপ্তাহে এক কোটি টিকা দেয়ার। টিকার মজুত সীমিত থাকার কারণে সে সময় তা সম্ভব হয়নি।