Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

নজিরবিহীন আধুনিকায়নে বিচার বিভাগ

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম


নজিরবিহীন আধুনিকায়নে বিচার বিভাগ

অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আইনজীবী হিসেবে বরাবরই সফল ছিলেন তিনি। তার আইনি পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হত্যামামলাটি শেষ হয় এবং শীর্ষ আদালত রায় প্রদান করেন। জাতীয় চার নেতা হত্যামামলায়ও রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন বিশিষ্ট এ আইনজীবী। এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহ ও দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করে দেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রশংসিত হয়েছেন আইনাঙ্গনে। সুপ্রিম কোর্টে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়ে আইনি দক্ষতা ও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

শুধু বঙ্গবন্ধু, জেলহত্যা, দুর্নীতি ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলাই নয়, তিনি ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সময়কালে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবেদনশীল ফৌজদারি মামলার পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সফলতাও পেয়েছেন। শুধু আইনজীবীই নন তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদও। আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী সব জায়গায়ই সমানভাবে সফল প্রথিতযশা এ আইনজ্ঞ।

দুই মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবেও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সঠিক পদক্ষেপ নেয়া, বিচারবিভাগকে নজিরবিহীন ডিজিটালাইজেশন করা, যেখানেই স্পর্শকাতর কোনো অপরাধ হয়েছে, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, প্রসিকিউশন, বিচারক তথা বিচার বিভাগকে আধুনিকায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন ও রাখছেন।

ফলে হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ব্যক্তিত্বও। প্রথম মেয়াদে সততা, নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় তার উপরে আস্থা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীও। দ্বিতীয় মেয়াদেও করেছেন একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিত্ব পেয়ে রেকর্ড গড়ছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একবার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তার আগে আর কেউ আইনমন্ত্রী হননি।

গত ৭ বছরে আনিসুল হকের নেতৃত্বে বিচারবিভাগে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইন ও বিচারবিভাগকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আনিসুল হকের বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে করোনা ভাইরাসের সময় জরুরি অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল যুগে প্রবেশ করে বিচারবিভাগ। যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করে বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন আইনমন্ত্রী।

এছাড় ব্রিটিশ আমলের পুরোনো ধাঁচের বিচারব্যবস্থার আধুনিকায়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা দেশ ছাপিয়ে বহির্বিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া আদালতের ভাবমূর্তি উন্নত করা, বিচার কাজকে গতিশীল করা, আদালতগুলোতে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি করা, বিচারব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা, বিচার কাজে স্বচ্ছতা আনা, বিচারক ও আইনজীবীদের স্বার্থে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

সফল এ আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচারবিভাগ প্রতিনিয়তই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে বিচার বিভাগের কাজের ধরন বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। আদালতে কাজের গতি বেড়েছে, বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু হচ্ছে ডিজিটাল জুডিশিয়ারি।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনে পরামর্শ ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার, চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, অল্প সময়ে রেকর্ড সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি, কার্যকরী ও যুগোপযোগী নতুন নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিচারক ও সহায়ক জনবল নিয়োগ, ব্যাপক হারে অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন নতুন ট্রাইব্যুনাল ও আদালত স্থাপন, বিচারিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ, বিচারক ও আইন কর্মকর্তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান, আদালতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর-পরিদপ্তর, অধিদপ্তর থেকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আইনমন্ত্রী।

গেলো ১০ বছরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দায়িত্বশীল এই মন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে। তার প্রচেষ্টায় দেশের আদালতগুলোর চেহারায় এখন পুরোই পরিবর্তন এসেছে। প্রায় প্রতিটি জেলার নবনির্মিত ম্যাজিস্ট্রেসি ভবনের কাজ চোখে পড়ার মতো। বিচারপ্রার্থীদের মধ্যেও অনেকটা সন্তুষ্টি এসেছে। আইনজীবীদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আইনমন্ত্রী বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

এরই মধ্যে রয়েছে দেশের বেশ কিছু বারের নতুন ভবন নির্মাণ, বার কাউন্সিলের ১৫ নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আইনজীবীদের কল্যাণ ফান্ড উন্নয়নের বিষয়েও বেশ আগ্রহী তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ও আইনমন্ত্রীর নির্দেশে নবীন আইনজীবীদের মানোন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বার কাউন্সিল। আইনজীবীদের মানোন্নয়নে নানা প্রশিক্ষণের ও কর্মশালার বাস্তবায়ন। প্রতিটি বিভাগে আইনজীবীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন আইন ও বিচারমন্ত্রী।

এছাড়া বিচারকসহ অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রীর নির্দেশনায় আদালত ভবনগুলোর পরিবর্ধন ও ৬৪ জেলায় ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, যার প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিনা খরচে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ডিজিটাল করার কাজ চলছে। আনিসুল হকের নেতৃত্বেই অল্পদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের কাছে রোল মডেল হবে।

সম্প্রতি আইনমন্ত্রীর নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকাসহ তিন জেলায় মামলা ব্যবস্থাপনায় সফটওয়্যার চালু, দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও মামলার তথ্য অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে সরবরাহ, মামলার তথ্য খোঁজার জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি, আদালত প্রশাসনে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ডাটাবেজ চালু করা হয়েছে।

উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ই-কোর্ট ব্যবস্থা চালু, ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেকর্ড ধারণ ও সংরক্ষণ, জেলাভিত্তিক ও কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা চালু এবং বিচারকদের দক্ষতা বাড়াতে পাঁচ বছর মেয়াদি ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এটা সম্পূর্ণ হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আর্থিক সাশ্রয় ও আদালতের সময়ের অপচয় রোধ হবে।

ইতোমধ্যে শত বছরের পুরনো দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সাক্ষ্য আইন সংশোধন করে ডিজিটাল রেকর্ডিং, ভিডিও কনফারেন্সিং ও ডিজিটাল ডকুমেন্টেশনকে আইনগত ভিত্তি দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত আইন, আইন কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলো গতিশীল করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিচারকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন আইনমন্ত্রী। অতীতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত ও চীনে ট্রেনিং প্রোগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বিচারকদের বিচারিক কাজ চালানোর জন্য আরও উন্নত দেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

আইনমন্ত্রীর কিছু সফলতা
চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তি : বর্তমান সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যামামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্রমামলা, বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যার বিচার, সিলেটের শিশু রাজন হত্যা, খুলনার শিশু রাকিব হত্যা, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যামামলা, সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ হত্যা, ২১ আগস্ট বোমাহামলার মামলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ঈশ্বরদীতে বোমাহামলা, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বোমাহামলা, পুরান ঢাকার বিশ্বজিৎ হত্যা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা, তারেক রহমানের দুর্নীতির মামলা, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের দুর্নীতির মামলা, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী রিশা হত্যামামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় দিয়া খানম মিম ও রাজীবের মামলা, গাইবান্ধার এমপি লিটন হত্যামামলা, ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যাসহ অসংখ্য আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। যা সবার কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে।

মামলা নিষ্পত্তি ও আইন প্রণয়ন : ২০০৯ সাল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের আদালতগুলোতে এক কোটি ৪২ লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ সময় নতুন মামলা দায়ের ও পুনর্জীবিত হয়েছে এক কোটি ৬৩ লাখ মামলা। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সহযোগিতায় ৫০১টি আইন, ৪৩টি অধ্যাদেশ, চার হাজার ৩৪৭টি এসআরও ইত্যাদি প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিচারক নিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন :  ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ বছরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২৪ জন, হাইকোর্ট বিভাগে ৮৭ জন এবং অধস্তন আদালতে এক হাজার ১২৮ বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই সময়ে দুই হাজার ১৪৪ জন বিচারককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এজলাস ও চেম্বারের অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা দূর করতে ২০১৭ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণকাজ চলছে। এই সময়ে ১৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪২টি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবনগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণ করা হয়েছে। একাধিক সিজিএম ভবন নির্মাণের পাশাপাশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল বা আদালত স্থাপন : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি আরও ৪১টি ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাতটি বিভাগীয় শহরে ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকায় একটি সাইবার ট্রাইব্যুনালও গঠন করা হয়েছে। এভাবে গত ১১ বছরে শতাধিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল সৃজন করা হয়েছে। আরও সহস্রাধিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল সৃজনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তৃণমূল বিচারপ্রার্থীর দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ৯টি জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৯টি চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়েছে।

ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প : দেশের উচ্চতর ও অধস্তন আদালতকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘ই-জুডিশিয়ারি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহায়তায় আইন মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার পাঁচ বছরমেয়াদি একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা (ডিপিপি) প্রণয়ন করেছে। প্রস্তাবটি গত ২৩ জুলাই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) যাবে। বিচার বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে ই-জুডিশিয়ারি।