Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

‘মাঝে মধ্যে কিছু ঘটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০৭:১০ পিএম


‘মাঝে মধ্যে কিছু ঘটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা হচ্ছে’

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কিছু কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটছে। এগুলো যে ইচ্ছাকৃত ঘটানো হচ্ছে তা আপনারা নিজেরাই টের পান। একইসঙ্গে অপপ্রচারও চালানো হয়।’ 

গতকাল রোববার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর সেতুর উদ্বোধন করতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল উভয় মহাসড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকার প্রধান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনো কেউ পেছনে টানতে পারবে না। কিন্তু আমরা যতই উন্নতি করি আর ভালো কাজ করি, একটা শ্রেণি আছে যারা বাংলাদেশের বদনাম করতে ব্যস্ত। তারা কী চায়? এ দেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক সেটা চায় না তারা। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের একটু কদর বাড়ে। সে জন্য তারা সবসময় উন্নয়নটা আর দেখে না। বরং তারা ধ্বংসই করতে চায়। এটাই বাস্তবতা। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। টিকা দিচ্ছি। দেশের কোনো মানুষই টিকা থেকে বাদ থাকবে না। সবাইকে টিকা দিয়ে যাতে নিরাপদ থাকতে পারে সে ব্যবস্থাও করবো। স্কুল-কলেজ ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছি, যাতে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়।’ 

সশরীরে উপস্থিত থেকে পায়রা সেতু উদ্বোধন না করতে পারায় মন খারাপ হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার। তার কথায়, ‘আমি নিজে উপস্থিত থেকে এই সেতুর ওপর দিয়ে যদি গাড়ি চালিয়ে যেতে পারতাম বা সেতুতে নেমে একটু দাঁড়াতে পারতাম বা একটু হাঁটতে পারতাম তাহলে সত্যি খুব ভালো লাগতো। পায়রা নদীটা যদি দেখতে পারতাম, এই নদীতে সবসময় স্পিডবোটে চড়েছি। 

কিন্তু করোনার কারণে বলতে গেলে বন্দিজীবন কাটছে। সেজন্য আর সেটা হলো না। তবে আমার আকাঙ্ক্ষা আছে, একদিন গাড়ি চালিয়ে এই সেতুতে অবশ্যই যাবো।’ সবশেষে সিলেট ও পটুয়াখালী প্রান্তে উপস্থিত উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। 

বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

এছাড়াও ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।