ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত
আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২৭, ২০২২, ১০:৪৫ এএম
প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ করার ফলে যে রোগ হয় তাকে ডায়রিয়া বলে। এটা প্রায়শ কয়েক দিন স্থায়ী হয় এবং এর ফলে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
প্রায়শ জলশূন্যতার লক্ষণগুলো শুরু হয় ত্বকের স্বাভাবিক প্রসারণযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনের সাথে। ডায়রিয়া এর তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয় যেমন প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, ত্বকের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দনের দ্রুত হার এবং সাড়া দেওয়ার সামর্থ্যের হ্রাস ইত্যাদি। তবে যে সমস্ত শিশুকে স্তন্যপান করানো হয়, তাদের পাতলা কিন্তু জলের মত নয় এমন মল স্বাভাবিক হতে পারে।
সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো কোনো ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, পরজীবী, অথবা গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস নামে পরিচিত একটি রোগের কারণে অন্ত্রের একটি সংক্রমণ। এই সংক্রমণগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মল দ্বারা দূষিত খাবার বা পানীয় থেকে হয় অথবা সংক্রামিত অন্য কোনো ব্যক্তির থেকে সরাসরি সংক্রমিত হয়। খোলা জায়গায় মলত্যাগ শিশু দের মধ্যে ডায়ারিয়া সৃষ্টির এক অন্যতম কারণ। ডায়ারিয়া উন্নয়নশীল দেশের শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে একটি।
*ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত
- ডায়রিয়া যত দিন চলে, তত দিন রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। স্যালাইন শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে। কলেরার জীবাণু দ্বারা ডায়রিয়া হলে প্রতিদিন শরীর থেকে ২০-৩০ লিটার পানি বের হয়ে যায়; যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
- ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য কোনো বিশুদ্ধ পানীয় পান করালে শরীরে লবণ ও পানির ঘাটতি কমবে। তবে ঘাটতি বেশি হলে সে ক্ষেত্রে কলেরা স্যালাইন দিতে হবে।
- ছয় মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধু মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- বেশি করে তরল খাবার যেমন: ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
- খাবার তৈরির আগে, শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে।
- যেসব শিশু মায়ের দুধ খায়, তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক জিঙ্ক খাওয়াতে হবে।
- বোতলের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
*ডায়রিয়ার লক্ষণ
- ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়া।
- শরীর দুর্বল হওয়া।
- খাওয়ায় রুচি কমে যাওয়া।
- ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে বমি হয়। পরে অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়।
- জ্বর এলেও তা খুব একটা তীব্র হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীর হালকা গরম থাকে।
*ডায়রিয়ার কারণ
- দূষিত খাবার
- দূষিত পানি
- রোগজীবাণু
- কৃমি
আমারসংবাদ/এআই