Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

বিডিএফএ’র সংবাদ সম্মেলন: ‘সয়াবিন মিল’ রপ্তানি বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ০২:২৫ পিএম


বিডিএফএ’র সংবাদ সম্মেলন: ‘সয়াবিন মিল’ রপ্তানি বন্ধের দাবি

পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের রক্ষার্থে ‘সয়াবিন মিল’ রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন মাংস আমদানি বন্ধ, খামারিদের বিদ্যুৎ বিল কৃষিখাতে আওতায়ভুক্ত, তরল দুধের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ পশুখাদ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতায় সরবারহ করে দেশে দুধ ও মাংস শিল্পের উন্নয়নের আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিডিএফএর সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, সহ-সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরানসহ দেশের খামার মালিক সমিতির অনেকে।

লিখিত বক্তব্যে ইমরান হোসেন বলেন, সয়াবিন মিল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার-এমন খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া দরকার। এটি বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পরবেন।

তিনি বলেন, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু উৎপাদনে খাদ্য খরচ সবচেয়ে বেশি। এগুলোর মধ্যে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদেশ থেকে প্রাণিজ খাদ্য উপকরণ মিট অ্যান্ড বোন মিল বন্ধ থাকায় সয়াবিন মিলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দেশের সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন শুল্কমুক্তভাবে (শূন্য) আমদানি করে সয়াবিন তৈল উৎপাদন করে এবং বাই প্রোডাক্টস হিসেবে সয়াবিন মিল দেশীয় বাজারে বিক্রি করে।

দেশে সয়াবিন মিলের মোট চাহিদা বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দেশীয় সয়াবিন তৈল উৎপাদকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অবশিষ্ট ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি করা হয়।


অন্যদিকে, খরচের বিপরীতে পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বড় অংকের লোকসানের মুখে পড়তে হবে খামারিদের। দেশের মানুষের স্বার্থে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা হয় সয়াবিন সিড। এর থেকে উৎপাদিত সয়াবিন মিলই এখন ৩ থেকে ৪টি তৈল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান মুনাফার স্বার্থে রপ্তানি করছে। যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আমারসংবাদ/আরএইচ