Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ, নিহত ৫২৩৮

এপ্রিল ৩০, ২০১৫, ০৬:২৭ এএম


নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ, নিহত ৫২৩৮

 নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হয়েছে। কাঠমান্ডুর উত্তরে পর্বতময় গোর্খা জেলায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ সরবরাহের মাধ্যমে বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এদিকে দেশটিতে ভূমিকম্পের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২৩৮-এ পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।

নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা ত্রাণের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় ওই অঞ্চলগুলোতে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার থেকে দেশটির সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করলেও কোনো ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর সময় সাঙ্গাচক এলাকার রাস্তায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সেনা সদস্যদের তৎপরতায় রাস্তা খুলে দেয় গ্রামবাসী।

দুর্যোগের পর সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হলেও এটা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ অবস্থায় দেশটিতে বিপর্যয় মোকাবেলায় ৪১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নেপাল সরকারকে আগামী তিন মাস জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করতে চায়।

এদিকে গত শনিবার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার ঘটনায় নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৫০ জনে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পে ৮০ লাখ লোক গৃহহীন ও ৭০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও তিব্বতে এ পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।

এ অবস্থায় নেপালে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।

দেশটিতে ১৯৩৪ সালের পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাত। ৩৪ সালের ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ৮ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।