Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬,৬০০

মে ২, ২০১৫, ০৪:৪১ এএম


ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬,৬০০

 নেপালে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাত দিন পার হচ্ছে। ২৫ এপ্রিল শনিবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নড়বড়ে হয়ে পড়ে হিমালয়কন্যা নেপাল। এক সপ্তাহে ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬০০। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদ ধাকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘দুর্যোগের ইতোমধ্যে এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার মনে হয় না ধ্বংসস্তুপের নিচে আর কেউ বেঁচে রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার নেপালে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) দূতাবাস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ইইউ-এর অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। নেপালের ৮১ বছরের ইতিহাসে শনিবারের ভূমিকম্পটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০টি পারমাণবিক বোমার সমান শক্তি নিয়ে ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে নেপালে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী জেমস জ্যাকসন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু অন্তত ১০ ফুট দক্ষিণে সরে গেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ছয় লাখেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮০ লাখেরও বেশি নেপালী। ভূমিকম্পের পর একটানা উদ্ধারকাজ চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে, ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড নেপালীদের মাঝে এখন বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এদিকে, ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর শতাধিক ছোট ছোট কম্পনের কারণে শিশুদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে তাদের পরবর্তী জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভূমিকম্পের কারণে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা দিন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া, খাবার, নিরাপদ পানি, ওষুধ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শিশুরা ঠিকভাবে পাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতেও জায়গা নেই। গাদাগাদি করে কিংবা অস্থায়ী শিবিরে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে নেপালীদের মধ্যে নানা ধরনের রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।