Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪,

পাঁচ মাসে ৩৮৫ জনকে গুলি করে মেরেছে মার্কিন পুলিশ

মে ৩১, ২০১৫, ০৯:৩০ এএম


পাঁচ মাসে ৩৮৫ জনকে গুলি করে মেরেছে মার্কিন পুলিশ

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে ৩৮৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। শনিবার সংবাদপত্রটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুইজনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।
 
গত এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যার যে হার প্রকাশ করে আসছিল এই হার তার দ্বিগুণ। সরকারি ওই হিসাবে সঠিক সংখ্যা প্রকাশ পায়নি বলে দেশটির কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
 
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহতের প্রতিটি ঘটনার তথ্য বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণটি করেছে সংবাদপত্রটি। এই প্রতিবেদনে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় গুলি বিনিময়ে যেসব পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের সংখ্যাও তুলে ধরা হয়েছে।
 
পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে (বিশেষভাবে সংখ্যালঘুদের উপর) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে যখন উপ্তত্ত বিতর্ক চলছে, তখনই এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল ওয়াশিংটন পোস্ট।  
 
আইন প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের পেশাদারিত্বের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা পুলিশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জিম বুয়িরমান বলেছেন, “যদি আমরা তথ্যগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ শুরু না করি তাহলে আমরা কখনোই পুলিশের গুলি করার সংখ্যা কমাতে পারবো না।”
 
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর গত দশকের রেকর্ডে দেখা যায়, দৈনিক এক দশমিক একজন হারে বছরে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন। পুলিশ সংস্থাগুলোর গুলিবর্ষণ করার ঘটনাগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রে একটি ঐচ্ছিক বিষয়।
 
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশ করা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৫ সালে নিহতের সংখ্যা অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন ২ দশমিক ছয়জন নিহত হয়েছেন। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে এই হার অব্যাহত থাকলে, চলতি বছরের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে প্রায় এক হাজারের মানুষ নিহত হবেন।
 
প্রতিবেদনে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের নিহতদের মধ্যে অর্ধেক শ্বেতকায় ও অর্ধেক সংখ্যালঘু। নিহত নিরস্ত্র মানুষদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ কৃষ্ণকায় বা হিস্পানিক।
  যে সব এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার জনসংখ্যার হিসাব অনুযায়ী নিহত কৃষ্ণকায়দের সংখ্যা শ্বেতকায় বা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের তুলনায় তিনগুণ।  
 
নিহতদের বয়স ১৬ থেকে ৮৩ বছরের মধ্যে। নিহতদের ৮০ শতাংশের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র ছিল, বেশিরভাগই বন্দুক। নিহতদের মধ্যে ৯২ জন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে পরে শনাক্ত হয়েছে।