ঢাকা
শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৭:২৫ এএম
মিয়ানমারে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানে রয়েছে সেনা সরকার।
এরমধ্যেই বাগো শহরে সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৮০ জন ছাড়িয়ে গেছে। গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাত থেকে শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত চালানো অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের বিষয়টি জানিয়েছে সে দেশের অ্যাক্টিভিস্টরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাগো শহর। সেখানে সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহতদের মরদেহ পায়নি তাদের স্বজনরা।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, গুলি করে মেরে ফেলার পর মরদেহ নিয়ে গেছে সামরিক বাহিনী।
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে মেশিনগান, গ্রেনেড এবং মর্টার শেল ব্যবহার করেছে সামরিক বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী।
স্থানীয় একজন বিক্ষোভকারী জানান, চোখের সামনে কিছু নড়তে দেখলেই সেদিকে গুলি চালিয়েছে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইয়ে তুত নামে বাগো শহরের একজন বিক্ষোভকারী দেশটির গণমাধ্যম মিয়ানমার নাউ’কে বলেন, ‘তারা গণহত্যা চালিয়েছে। চোখের সামনে পড়া প্রতিটি মানুষের উদ্দেশে তারা গুলিবর্ষণ করেছে।’
জান্তাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ছয় শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। অবশ্য পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহত বেসামরিক মানুষের সঠিক সংখ্যা আরও বেশি।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আবারও ক্ষমতায় আসে। সামরিক বাহিনী এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুললেও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে। তখন থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন।
সূত্র: বিবিসি
আমারসংবাদ/এএসএম
