Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

১৭ বছরের সংসারে ভাঙন, খুশিতে নারীর ‘ডিভোর্স পার্টি’ 

আমার সংবাদ ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ১১:১০ এএম


১৭ বছরের সংসারে ভাঙন, খুশিতে নারীর ‘ডিভোর্স পার্টি’ 

১৭ বছর পর বিবাহিত জীবনের ইতি টেনে খুশিতে ডিভোর্স পার্টি দিয়েছেন এক নারী। যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা সোনিয়া গুপ্ত নামে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী নিজের বিবাহিত জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি উপলক্ষে ডিভোর্স পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিদেনে দেখা যায়, এক ছবিতে দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে ঝলমলে রঙিন পোশাকের ওপর ‘ফাইনালি ডিভোর্স’ লেখা সাটিন স্যাশ পরতে দেখা গেছে। পার্টিতে আগত অতিথিদের ঝলমলে ও উজ্জ্বল পোশাক পরে আসতে বলেছেন সোনিয়া।

নিজের ব্যক্তিত্বের আঙ্গিকেই পার্টির থিম ঠিক করেছিলেন সোনিয়া। তিনি নিজেকে একজন খোলামনের মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু তার স্বামী ছিলেন পুরোপুরি তার বিপরীত। বিয়ের শুরু থেকেই ভীষণ মনমরা থাকতেন সোনিয়া। তিনি জানতেন তাদের জুটি একদম মানায় না।

২০০৩ সালে ভারতে বিয়ে হয় সোনিয়ায়। বিয়ের পরই তিনি অনুধাবন করেন, তার বিবাহিত জীবন সুখের নয়। এরপর বহু বছর ধরে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তিনি।

বিয়ে ভাঙার ব্যাপারে সোনিয়া বলেন, আমি যখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার পরিবারকে জানাই, তারা আমার এই সিদ্ধান্ত একদমই মেনে নেয়নি। কিন্তু আমার দুই ছেলে আর বন্ধুরা আমাকে সব সময় সমর্থন জানিয়েছেন।

৪৫ বছর বয়সী ওই নারী বলেন, তিনি এশিয়ান সিঙ্গেল প্যারেন্ট নেটওয়ার্ক থেকেও সাহায্য পেয়েছিলেন। তিনি যে, ‘ডিভোর্স পার্টি’ আয়োজন করেছিলেন তা ছিল তার বাবা-মাকে দেখানো; যারা শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন।

বিয়ে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু এটি তিন বছর ধরে টানা ছিলো। অবশেষে অনেক আলোচনা, আদালতে উপস্থিতি, বিচার এবং মতবিরোধের পরে বিয়ে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।

সোনিয়া বলেন, মানুষ সাধারণত বিশ্বাস করে যে, বিয়ে বিচ্ছেদের পরে কোন জীবন নেই। এরপরে আপনার জীবন শেষ হয়। কিন্তু আসলে আমার সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আমি এ বছরগুলোতে অনেক কিছু শিখেছি এবং অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি হয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছিলাম পুরনো আমাকে ফিরে পেতে। আমি এখন মুক্ত মনে করি। আমি যেন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি এবং এখন আমি সত্যিই আমার সেরা জীবন যাপন করছি।

আমারসংবাদ/জেআই