Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

দ্বাদশ পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষা সরকারের সিদ্ধান্ততে অভিনন্দন

প্রিন্ট সংস্করণ

অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০৪:৫৯ এএম


দ্বাদশ পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষা সরকারের সিদ্ধান্ততে অভিনন্দন

বর্তমান সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে সময়োপযুগী সাফল্যের বড় প্রমাণ ইতোপূর্বে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা ও ব্যাপক প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তিকরণ। যুগান্তকারী, সাহসের ও সাফল্যের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস রচিত হয় ২০১৩ সনে। যখন একই সাথে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে লক্ষাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে সরকারি চাকরি ‘সোনার হরিণ’ প্রদান। যাতে এসব শিক্ষক ও হাজারো শিক্ষক পরিবার সামাজিক ও আর্থিক মর্যাদা লাভ করে।

শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা দেয়ার পর এবার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকে সহজলভ্য করতে আরেক যুগান্তকারী এবং স্মরণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোপূর্বে বিভিন্ন পর্যায়ে উপবৃত্তি ছাড়াও মেধাবৃত্তি ও মিডডে মিল চালুর পর এবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে একটি শ্রেণিতে টিউশন ফি দিতে হবে না। দেশের প্রতিটি ঘরেই রয়েছে শিক্ষক না হয়তো শিক্ষার্থী। সরকারে এ অবিস্মরণীয় উদ্যোগকে আমরা সু-স্বাগত জানাই।

কবি কাজী কাদের নেওয়াজের যুগবিনাশী ও কালোত্তীর্ণ কবিতা ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’র শেষ উক্তির মতোই স্মরণীয় হয়ে থাকবে এসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী পরিবারে (শেখ হাসিনার স্মরণে); ‘আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির, সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর’। শিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন, ভিশন-২০৩০ এবং ২০৪১ অর্জনের লক্ষে ঝরেপড়া রোধ এবং মান অর্জনই অবৈতনিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। এজন্যই পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করতে চায় সরকার।

এ লক্ষেই প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া অবৈতনিক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ সুযোগ দেয়া হবে। পরের বছর সিদ্ধান্তটি সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর একটি শ্রেণি অবৈতনিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হবে। সেই হিসাবে ২০২৬ সালের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা চালু হবে। একই সাথে বাড়ানো হবে উপবৃত্তির পরিমাণ। বর্তমানে প্রতিটি শ্রেণিতে ৪০ শতাংশ উপবৃত্তির আওতায় থাকলেও তা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার সুযোগ থাকলেও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অবৈতনিক শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, যে পরিমাণ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ ছাত্র, বাকিরা ছাত্রী। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ শতাংশ ছাত্র এবং ৪৫ শতাংশ ছাত্রী উপবৃত্তি পাবে। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার উদ্যোগ এবং শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে সরকারের সুদুরপ্রবাসী অভিপ্রায়কে আমরা স্বাগত জানাই।