নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৪, ২০২১, ০৪:৫৫ পিএম
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ (নাসির উদ্দিন মাহমুদ)। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সোমবার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয় জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমনি।
পরে দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি টিম উত্তরা থেকে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ (৬৫) পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবে নাসির মাহমুদের সীমিত গণ্ডিতে পরিচিতি থাকলেও এখন অনুসন্ধানে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও বেরিয়ে এসেছে। আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয়া নাসির জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য।
নাসির জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলে স্বীকার করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নাসির উত্তরা ক্লাবের তিন বারের সভাপতি ছিলেন। আমি নিজেও উত্তরা ক্লাবের সদস্য। উনি (নাসির) দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এখন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এবারের কাউন্সিলে আমাদের কাছে সক্রিয় রাজনীতি করবেন এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে হিসেবে তাকে প্রেসিডিয়াম মেম্বার করা হয়। তবে যে অভিযোগ এখন এসেছে নাসিরের বিরুদ্ধে, সে বিষয়ে আগে কোনো আভাস পাননি।
তার বিষয়ে আলোচিত এ ধরনের ঘটনার মতো নেতিবাচক কোনো ঘটনা আগে ঘটেনি। তারপরও দলের জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে প্রেসিডিয়াম সদস্যের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, নাসির মাহমুদ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জাতীয় পার্টির সদস্য। মাঝে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ায় তাকে ২০২০ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। দলের প্রয়োজনে তাকে পাওয়া যেত। কেউ কখনো বলেনি, নাসির মাহমুদ খারাপ মানুষ।
তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। কখনো এমন কিছু দেখেনি বা শুনিনি যাতে নাসির মাহমুদ খারাপ মানুষ মনে হতে পারে। তিনি উত্তরা ক্লাবের তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। উত্তরা ক্লাবের সদস্য শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত মানুষ। তারা তো একজন খারাপ মানুষকে তাদের সভাপতি হিসেবে বেছে নেবেন না!
নাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠার পর হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেছেন, 'অভিযোগ শোনার পর আমি শকড! দলীয় ফোরামে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা হবে। যাচাই বাছাই করে দেখা হবে কী ঘটেছিল। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই তিনি অপরাধী হয়ে যান না।'
উল্লেখ্য, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুটি গাড়িতে করে উত্তরার উদ্দেশে বেরোন তারা। পথে অমি নামের সঙ্গীদের একজন দুই মিনিটের কাজের কথা বলে তাদের বোট ক্লাবে নিয়ে যান। এসময় পরীমনির সঙ্গে তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিও ছিলেন। ক্লাবে ভেতরে পরীমনিকে নির্যাতন করার সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে জিমিও হামলার শিকার হন। এই জিমির মাধ্যমে বছর দুয়েক আগে অমির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পরীমনির।
আমারসংবাদ/এআই