Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ফের লকডাউনের আওতায় আসছে দেশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৭, ২০২১, ০৪:৩০ পিএম


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ফের লকডাউনের আওতায় আসছে দেশ!

দেশে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সুপারিশ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুধু তাই নয়, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আবার পুরোপুরি লকডাউনে যেতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

এরই মধ্যে দেশে লকডাউন চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সুপারিশে কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করাসহ করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমনকি যে কোনও পাবলিক পরীক্ষা; যেমন-বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখার কথাও সুপারিশে বলা হয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের পহেলা মার্চ থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৫ জন। ২৪ ঘণ্টার এই শনাক্ত গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত একদিনে মারা গেছেন আরও ১১ জন।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো-(১) সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোনও জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। (২) কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে। (৩) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। (৪) যেকোনও পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে। (৫) কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। (৬) যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা। (৭) বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেয়া। (৮) আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা। (৯) স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা। (১০) পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা। (১১) সব ধরনের সভা ভার্চ্যুয়াল করা এবং (১২) পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

আমারসংবাদ/জেডআই