Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

সাঈদী রাজাকার, কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০৯:৫০ এএম


সাঈদী রাজাকার, কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার অনুভূতির কথা বলবো। আমি সরকার বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বলছি না। একাত্মরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একজন কুখ্যাত রাজাকার। বাংলাদেশে একের পর এক অস্থিতিশীল ঘটনা ঘটনোর জন্যও সে দায়ী। তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এ কথা বলেন। তবে এই মন্তব্যকে একান্ত নিজস্ব ভাবনা বলেও দাবি করেন তিনি।

সাঈদীকে কেন ভরণপোষণ দিতে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

তিনি বলেন, এই সাঈদীর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে এভাবে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে, ভরণপোষণ দিয়ে, আদর আপ্যায়ন করার মানেটা কী? এই বিষয়টিকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। কোনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং এই বাংলাদেশের আমি বলব কিছু মানুষ ছাড়া যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কেউই চায় না এই রাজাকারটাকে এভাবে কারাগারে সুন্দরভাবে আদর আপ্যায়ন করা হোক। এর বিচার হওয়া উচিত।

দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায় পুনর্বিবেচনা করা যায় কি-না সেই দিকটিও খতিয়ে দেখবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী মুরাদ।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, এ বিষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ আপনারাই সবচেয়ে বড় শক্তি। শুধু বাংলাদেশে নয় শুধু, সমগ্র পৃথিবীতে যদি তাকান মিডিয়াতে যারা কাজ করেন তাদের চেয়ে কেউ বেশি পাওয়ারফুল না।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করছেন কি-না, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ না। আমি আমার অনুভূতির কথা বলছি। বিচার বিভাগ বা আদালতকে কোনোভাবেই কোনো কথা বলার কোনো সুযোগ আমার নাই। আমার চাওয়াটা হলো- তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। যে পরিমাণ অপরাধ উনি করেছেন। রিভিউ হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনমন্ত্রী ছাড়াও নিজের আইনজীবী বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।

গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ দুঃখজনক। এহেন আচরণ কাম্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। নারী বা মেয়ে যেই হোক তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ যারাই করেছে তারা মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং মানসিকভাবে অসুস্থ।

গণপরিহণের ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। পৃথিবীর সব দেশের গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। এমনকি আমাদের পাশের দেশ ভারতেও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

মুরাদ হাসান বলেন, কখনো দেখা যায় গণপরিবহণে আমাদের গার্মেন্ট শিল্পে নিয়োজিত নারী কর্মীরাও পরিবহণ শ্রমিকদের দ্বারা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। যারা এসব করছে তাদেরও তো মা-বোন রয়েছে। যখন একজন নারীর সঙ্গে এরুপ আচরণ করে থাকে তাদের মনে কি তাদের মা-বোন বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা মনে পড়ে না?

আমারসংবাদ/এআই