ঢাকা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,
নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৭:১৫ পিএম
কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দুস্থদের মাঝে রিকশা-ভ্যান বিতরণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মানবতার আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে দুস্থদের মাঝে এসব রিকশা-ভ্যান বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা বিভিন্ন এলাকা এবং দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা, সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতাধিক অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে রিকশা-ভ্যান বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিরিজ বৈঠককে ‘ষড়যন্ত্র বৈঠক’ অভিহিত করে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও করার ইচ্ছা মনে হয় আপনাদের আছে। আবার যদি কোনো সহিংসতার রাস্তা নেন, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, শেখ হাসিনার অর্জনকে খাটো করতে চান তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার অবাক লাগে যখন মির্জা ফখরুল বলেন, এই সফরে কোনো অর্জন নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব দুনিয়ার কোনো খবর রাখেন না। জাতিসংঘের অধিবেশনের প্রত্যেকটি ফোরামের বক্তব্য, মূল অধিবেশনে শেখ হাসিনার বক্তব্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের সুনাম-মর্যাদাকে শেখ হাসিনা নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছেন এবারের বিশ্বসভায়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে সৎগুণ ও বিবেকের কথা বলে উল্টোদিকে অবস্থান করে এই দেশকে রসাতলে নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং ’৭৫ পরবর্তী সময়ের শাসকগোষ্ঠী।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামের নেতা গোলাম আজম বলেছিলেন নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু তিনি যখন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে গেলেন তখন আরাম আরাম আর আরাম। তারা শুধু দ্বিচারিতা নয়, সুনির্দিষ্ট ভ্রষ্টাচার ও তাদের পাপ, অন্যায়, মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এই ধরনের কার্যক্রমে করে গেছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ‘কোথায় নেই শেখ হাসিনা। ’৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসার পর তার পথচলা সহজ ছিলো না। বাঁকে বাঁকে হিংসা, হত্যা, গুম, খুন সবকিছু উপেক্ষা করে জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘পেছন দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তাদের সেই স্বপ্ন দিবাস্বপ্নে পরিণত হবে। শুধু চারবার নয়, তিনবার নয় যতদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন, ততদিনই বাংলার মানুষ ম্যান্ডেট দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী করবে।’
ক্ষমতাসীন সরকারের নানামুখী উন্নয়ন অগ্রগতি অর্জনের প্রসঙ্গ তুলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘গ্রামকে গ্রাম অন্ধকারে ঢাকা ছিলো। আজকে সেই গ্রাম আলোয় আলোকিত। আমার মনে আছে, বেগম মতিয়া চৌধুরী একদিন সংসদে বলেছিলেন, এমন একদিন আসবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এই বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করতে হবে। ‘বিদ্যুৎ নেবেন ভাই, বিদ্যুৎ নেবেন’ সেই অবস্থা একদিন আসবে। আজকে প্রকৃত অর্থে কিন্তু তাই এসেছে। সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।’
