Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৭:২০ পিএম


মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত সবজির

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। সবজি, ডিম, মাছ, পেঁয়াজ, আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। 

মুরগির দামের বিষয়ে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিজানুর বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম কমতির দিকে। এক মাসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। আমাদের ধারণা, সামনে মুরগির দাম আরও কমবে। 

 খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদা আগের থেকে বাড়েনি। বরং করোনা বেড়ে যাওয়ায় আগের থেকে চাহিদা কমেছে। এক মাস আগে যে পরিমাণ মুরগি বিক্রি করেছি, এখন বিক্রি হচ্ছে তার থেকে কম।
এ কারণেই মুরগির দাম কমেছে। 

এদিকে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিম মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওলকপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও শাকের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। 

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. রাজু বলেন, এখন দিন যত যাবে, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ততই কমবে। সবজির দাম আর কমার সম্ভাবনা কম। তবে পাকা টমেটোর দাম সামনে আরও একটু কমতে পারে। 

মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। 

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।