কামারুজ্জামানের লাল খাম কারাগারে পৌঁছেছে

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের  মৃত্যু পরোয়ানা লাল কাপড়ে মুড়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ জারি করে বিশেষ বাহক ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার আফতাবুজ্জামানের মারফত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। একইভাবে পরোয়ানাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু পরোয়ানা হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম।

এর আগে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদসস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন। পরে রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে গতকাল বুধবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ জারি করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। তখন সরকারের পক্ষে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দিন ধার্য করতে কোনো অসুবিধা থাকবে না। তবে কামারুজ্জামানের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন করা হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাবে।

২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলবদর বাহিনীর ময়মনসিংহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলেও প্রমাণ হয় রায়ে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে ব্যাপক নৃশংসতার অভিযোগ আছে। বুদ্ধিজীবী হত্যায়ও মূল দায়ী করা হয় আলবদর বাহিনীকে। জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীরাই ছিলেন এই বাহিনীর নেতৃত্বে।