Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

আবদুল জব্বারের রায় মঙ্গলবার

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫, ০৬:৪৩ এএম


আবদুল জব্বারের রায় মঙ্গলবার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ারের মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা  করা হবে।
 
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১  সোমবার সকাল ১১টার দিকে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
 
এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি 'পলাতক' আবদুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
 
একাত্তরে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় পলাতক জব্বারের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল-১ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন। পিরোজপুরের সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় গত ১ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
 
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ছাড়াও ৩৬ জনকে হত্যা, ২০০ জনকে ধর্মান্তকরণ, ৫৫৭টি বাড়িঘরে লুটপাট চালানো ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
 
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গত ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় বিচারক তাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে অভিযোগ গঠন করেন। এরআগে পলাতক জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
 
গত বছর ১৯ মে থেকে এরশাদের জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জব্বারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরআগেই ২০০৯ সালেই তিনি আমেরিকায় পালিয়ে যান। মঠবাড়িয়ার খেতাছিড়া গ্রামের বাসিন্দা জব্বারের শ্বশুর ছিলেন স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা।
 
অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জব্বার ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে মঠবাড়িয়া থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৮২ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন।
 
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফুলঝুড়িতে তার নির্দেশে দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা,  নাথপাড়া ও কুলুপাড়ার শতাধিক বাড়িতে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ,  ফুলঝুড়িতে একজনকে হত্যা করেন এবং ৩৬০টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, নলীতে ১১ জনকে হত্যা ছাড়াও ৬০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ, তার নেতৃত্বে ফুলঝুড়িতে প্রায় দু’শ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা, মঠবাড়ীয়া থেকে ৩৭ জনকে আটক, মালামাল লুণ্ঠন, অপহরণ, নির্যাতন, ১৫ জনকে গুরুতর জখম এবং ২২ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।