Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

জামায়াত নেতা আজহারের রায় মঙ্গলবার

ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪, ০২:৫৪ পিএম


জামায়াত নেতা আজহারের রায় মঙ্গলবার

  মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার । সোমবার রায়ের এ দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করবেন। বিচারক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল-১।

ওইদিন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউশনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও শিশির মোহাম্মদ মুনির।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ঘোষণা করার পরে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলে, “এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়ও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।“তার অপরাধের যা মাত্রা, তাতে সর্বোচ্চ শাস্তিই উপযুক্ত। ট্রাইব্যুনালের কাছে আমরা সর্বোচ্চ সাজাই চেয়েছি।”

রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে হত্যা, চারজনকে খুন, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি। জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়। ওইবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্ত শেষে প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গতবছর ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর  নভেম্বরে অভিযোগ গঠন করে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীসহ প্রসিকিউশনের পক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। তবে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া আজহারের যুদ্ধাপরাধের একজন ‘ভিকটিম’ ১৪ নম্বর সাক্ষী হিসাবে ক্যামেরা ট্রায়ালে জবানবন্দি দেন।

চলতি বছর ৩ ও ৪ আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আনোয়ারুল হক।