প্রিন্ট সংস্করণ॥রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল
মে ৮, ২০১৮, ০৭:৫০ পিএম
জালিয়াতি ও জাল কাবিননামা তৈরি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানায় ১২-১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ মে রোববার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট খোরশেদ আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০, তারিখ: ০৬/০৫/২০১৮, ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ও ১০৯ ধারা। মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হচ্ছে সদর থানার আদালতপাড়া এলাকার মৃত বদর উদ্দিনের মেয়ে রুনা লায়লা (৪০), মধুপুর উপজেলা সদরের মমরেজ উদ্দিন ভুইয়ার ছেলে রুহুল আমীন ভুইয়া, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের বাবুল মিয়া, জামালপুর সদরের ভালুকা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. আবুল কালাম, মধুপুর উপজেলার আংগারিয়া গ্রামের মো. আব্দুল হাই ফকিরের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দিন, সদর উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার মৃত পরশ মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাছ আলী, ময়মনসিংহের এডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও নোটারি পাবলিক ময়মনসিংহ জেলা এডভোকেট বার সমিতির মোন্তাছির বিল্লাহ। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্বাছ আলীর মেয়ে পরিচয়ে রুনা লায়লা বাঘিল ইউনিয়ন নিকাহ রেজি. মো. শামছুল আলমের মাধ্যমে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে একটি জাল কাবিননামা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। মো. খোরশেদ আলম বিষয়টি জানতে পেরে কাজী শামসুল আলমের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য নেয়। এর পর উপরোক্ত আসামিগণ গত ৪ জানুয়ারি রুনা লায়লা কনে ও মো. খোরশেদ আলমকে বর দেখিয়ে কাজী মো. বাবুল মিয়ার মাধ্যমে একটি জাল কাবিননামা তৈরি করে। আমিনুল ইসলাম সাতপোয়া নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী অফিসে ১ নং বালাম বহির ২ নং ক্রমিকে জালিয়াতি মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই জাল কাবিনে আবুল কালাম ও মোসলেম উদ্দিন স্বাক্ষী দেয়। জাল কাবিননামাসহ গত ৫ মে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মসজিদের সামনে রুহুল আমীন ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। রুহুল আমিনের নিকট হতে অলক সেলাই মেশিন ঘরের ক্যাশ মেমোর ফটোকপি, ২টি সাদা কাগজে জনৈক ব্যক্তির ফটোকপি, খোরশেদ আলমের ছবি সম্মিলিত জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রিন্টকপি, রেজিস্টার-এ, ক্রমিক নং২/১৮, বালাম নং ০১ উল্লেখিত নিকাহ নামার ফটোকপি, নোটারি পাবলিকে বিবাহ ঘোষণার পত্রের ফটোকপি (যার এস.এল. নং- ১৫৭, তারিখ: ০৪/০১/২০১৮)সহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।