Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫,

ফুলশয্যার রাতে আপনার কী করা উচিৎ

ডিসেম্বর ৩, ২০১৫, ০৮:৪৬ এএম


ফুলশয্যার রাতে আপনার কী করা উচিৎ

   সামনেই বিয়ে? তা হলে তো ফুলশয্যারও বেশি দেরি নেই। মনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তার উপর যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়, মনে হয়তো উঁকি দেবে শঙ্কাও। তবে প্রেম করে বিয়ে করলে আলাদা কথা। অনেকদিনের চেনা মানুষ হলে ফুলশয্যার রাতটাকে তেমন উত্তেজকপূর্ণ মনে হয় না। উত্তেজনায় ঘুম ওড়ে তাঁদেরই, যাঁরা সম্বন্ধ করে বিয়ে করেন। তাই বলি, মন থেকে ভয় মুছে ফেলুন। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে জীবনের প্রথম রাত উপভোগ করুন মনের মতো করে। তার আগে জেনে নিন কী করণীয় :

১. মিষ্টি ব্যবহার: বিয়ের আগে বার খানেক হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। চোখে চোখ রেখেছেন। হাতে রেখেছেন হাত (অনেকে হয়তো সেটাও করেননি)। মিষ্টি বাক্যবিনিময়ে সন্ধে কেটেছে দু-জনের। ব্যাস, ওই পর্যন্তই। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে বিয়ে করতে চলেছেন। তিনিই হবেন আপনার স্ত্রী। তাই কয়েকটা জরুরি বিষয়ে খেয়াল রাখুন। জানবেন, কোনও ভুল করলে তার কুফল ভোগ করতে হবে গোটা জীবন। তাই প্রথমেই বলি, নিজের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রথম রাতে কোনওরকম উগ্রতা প্রকাশ করবেন না। লজ্জা পেলে ঠিক আছে। সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু উগ্রতা নয়। কথাবার্তায় শান্ত ও সৌম্য ব্যবহার একান্ত কাম্য।

২. বিশেষ গ্রুমিং: ফুলশয্যার রাতের জন্য নিজেকে তৈরি করুন। সবাইকে দেখিয়ে নয়, নিজের মতো করে। ফুলশয্যার পোশাক এমনিতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে তত্ত্বে পাঠিয়ে দেয়। পছন্দসই রং হলে ঠিক আছে। কিন্তু স্ত্রীকে ইমপ্রেস করতে যে রং আপনাকে মানায়, সে রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। এই রাতের জন্য পাজামা পাঞ্জাবীটাই সেরা বাছাই। ভুঁড়ি থাকলে জিম বা এক্সারসাইজ় করে কমিয়ে নিন। ফেশিয়াল করান। চুল সুন্দর করে কাটিয়ে নিন। শেভ-টেভ করে, পারফিউম-টারফিউম মেখে একেবারে ফিটফাট হয়ে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নিন।

৩. আলাপ: আলাপেই সম্পর্কে মধু মিশে যাবে। তাই স্ত্রীর সঙ্গে খানিক খোশগল্প করুন। প্রথমেই তার ভয় ভাঙিয়ে এটা বোঝান, আপনি কোনও সাঙ্ঘাতিক ব্যক্তি নন। সারাদিনের ক্লান্তি, বিয়ের অনুষ্ঠানের ধকল, খাওয়াদাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, আপনাকে বিয়ে করে তিনি খুশি কিনা? নিজের কথা বলার সময় ইনিয়েবিনিয়ে কিছু বলবেন না। সব সত্যি বলবেন। বিশ্বাসটা আগে থেকেই তৈরি করলে ভালো। মোটের উপর, পরিস্থিতি হালকা রাখার চেষ্টা করুন। আগে বন্ধুত্বটা বানিয়ে ফেলতে হবে। নতুন করে বলার কিছু নেই, তবে আরও একবার মনে করিয়ে দিই, প্রত্যেক সম্পর্কের ভিত কিন্তু বন্ধুত্বই।

৪. মিলন কি হবে?: ফুলশয্যার রাত মানেই একজন নারীকে পুরোপুরি নিজের করে পাওয়ার প্রথম রাত। অনেকটা লাইসেন্স পাওয়ার মতোই। যতই মুখ টিপে হাসুন, এটাই ঘোর বাস্তব। ফলে অনেকে ভেবেই নেন, এই রাতেই বুঝি দাম্পত্য জীবনের প্রথম কদমফুল ফোটে। কিছুটা হলেও বিষয়টা কিন্তু পুরোপুরি সত্যি নয়। অনেকেই আছেন, যাঁরা স্রেফ গল্প করে বা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। অনেকে আবার অনেককিছুই করেন। ফলে স্ত্রীর চাহিদা কী জানা দরকার। হতেই পারে, আপনি রেডি, তিনি নন। সেরকম হলে কিন্তু জোর করা হয়ে যাবে। স্ত্রীর শরীরী ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি দেখেন স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক চাইছেন, এগিয়ে যেতে পারেন। যদি তিনি খানিক ইতস্তত করেন, জোর করবেন না। এতে আপনার ভাবমূর্তি খারাপ হবে।

৫. নিরিবিলি ফুলশয্যা: আগে থেকেই বাড়ির লোকেদের বলে দিন ফুলশয্যা যেন এমন কোনও জায়গায় হয় যেখানে বিয়েবাড়ির হইহট্টগোল নেই। সেখানে শুধু আপনি ও আপনার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ছাড়ার আর কেউ আসবে না। দেখবেন, ভাইবোন, বন্ধুবান্ধব যেন আড়ি পাততে না পারে। তা না হলে ফুলশয্যার সব মজা মাটি হয়ে যাবে।

৬. মন ছুঁয়ে যায় উপহারে: আরও একটা জিনিসের প্রতি খেয়াল রাখুন। স্ত্রীর জন্য ছোটো কোনও উপহার নিতে ভুলবেন না। বিরাট দামি না হলেও খুব সুন্দর কোনও উপহার চলতেই পারে। কিন্তু উপহার নিয়ে যাওয়াটা হল মাস্ট। স্ত্রী কেমন, তার পছন্দ কেমন, সেটা বাড়ির লোকের সাথে কথায় কথায় জেনে নিন। সেই মতো কিনে নিন সুন্দর কোনও উপহার। ফুলশয্যায় স্ত্রীর মুখে হাসি ফুটবেই।