আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৩:২৬ এএম
আজ সোমবার। ১৫ জুলাই, ২০১৯। ৩১ আষাঢ়, ১৪২৬। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৯৬তম (অধিবর্ষে ১৯৭তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১৬৯ দিন বাকি রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী :
১০৯৯ - খৃষ্টান ক্রুসেডাররা পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস বা জেরুজালেম শহর দখল করেছিল।
১৮১৫ - ওয়াটার লু যুদ্ধে পরাজিত নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বন্দী হন।
১৯১২ - ব্রিটেনে সামাজিক জীবনবীমা কার্যক্রম চালু হয়।
১৯২৭ - অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পুলিশের গুলিতে ৮৯ জন প্রতিবাদকারী নিহত হন। এটি ইতিহাসের একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত।
১৯৩৯ - নিউইয়র্কের ক্লারা এ্যাডামস নামে নারী বৈমানিক সর্বপ্রথম বিমানে বিশ্বপরিক্রমা সম্পন্ন করেন।
১৯৭৫ - মহাশূন্যের কক্ষপথে আমেরিকার এপোলো ও রাশিয়ার সূ্যয়ে নভোযানের সংঘর্ষে বিস্কোরণ।
১৯৭৭ - বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
জন্মদিন
রেমব্রান্ট রেইন (১৬০৭ - ১৬৬৯)
রেমব্রান্ট হারমেনজেই ফান রেইন হল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পী এবং ইউরোপের ইতিহাসের সেরা চিত্রশিল্পী ও ছাপচিত্রশিল্পীদের একজন। ১৭ শতকে ওলন্দাজ স্বর্ণযুগের সময় তিনি অসামান্য আবদান রাখেন।
অক্ষয়কুমার দত্ত (১৮২০ - ১৮৮৬)
অক্ষয়কুমার দত্ত হলেন একজন বাঙালি সাংবাদিক, প্রবন্ধকার এবং লেখক। বাংলা, সংস্কৃত এবং ফারসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর দক্ষতা ছিল। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে তিনি স্মরণীয়।
মারিও কেম্পেস (১৯৫৪- বর্তমান)
মারিও কেম্পেস একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার। তিনি আর্জেন্টিনার পক্ষে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে ৪৩ ম্যাচে ২০টি গোল করেন। তিনটি বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় (১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ১৯৮২) তিনি অংশ নেন। তিনি ১৯৭৮ বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। ওই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে তার ছিল মুখ্য অবদান।
মৃত্যুবার্ষিকী
আন্তন পাভলোভিচ চেখভ (১৮৬০ - ১৯০৪)
আন্তন পাভলোভিচ চেখভ একজন রুশ চিকিৎসক, ছোটগল্পকার এবং নাট্যকার ছিলেন। তাঁকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা ছোটগল্প লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নাট্যকার হিসেবে পেশাজীবনে চেখভ চারটি ক্ল্যাসিক রচনা করেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এমন নাট্যকারদের মাঝে শেকসপিয়র ও ইবসেনের পাশাপাশি চেখভের নামও উল্লেখ করা হয়। ১৮৮০ থেকে ১৯০৩ সালের মধ্যে তিনি সর্বমোট ৬০০টি সাহিত্যকর্ম রচনা ও প্রকাশ করেন।
হারম্যান এমিল ফিসার (১৮৫২ - ১৯১৯)
হারম্যান এমিল ফিসার একজন জার্মান রসায়নবিদ। তিনি কার্বহাইড্রেট সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ১৯০২ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুগারের গাঠনিক সংকেত নির্ণয়ে ও সংশ্লেষণে তাঁর ব্যাপক অবদানের জন্য তাকে ‘সুগার রসায়নের জনক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি প্রোটিন ও রঞ্জক পদার্থের রসায়নেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
এমএআই