জানুয়ারি ২৭, ২০১৬, ০৬:৪৫ এএম
তা সে যাই বলুন, মেয়ে হয়ে জন্মানোর অনেক কষ্ট। হতে পারে মেয়েরা সুন্দরী, মেয়েরা অনন্যা, হতে পারে তারা ডেলিকেট ডার্লিং। কিন্তু মেয়ে হওয়া পীড়াদায়ক। নিঃসন্দেহে।
১. পিরিয়ড কেন হয়: ছেলেদের হয় না কেন? মেয়েদেরই হয় কেন? মাসের ওই পাঁচটি দিন এই প্রশ্ন মাথায় আসবেই।
২. একটাও জামা নেই: দু-তিনটে আলমারি ভর্তি জামা। তাও মনে হয় একটাও জামা নেই। মেয়েদেরই এই সমস্যাটা হয়। ছেলেদের হয় না। এর কারণ মেয়েরা একই জামা পরপর দু-দিন পরলে সবাই ভাবতে শুরু করে তার একটাও জামা নেই।
৩. মুড সুইং: এখনই ভালো, এখনই খারাপ। এর জন্য দায়ি হরমোন।
৪. ওয়্যাক্সিং: শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তোলার ঝকমারি পোহাতে হয়ে কেবল মেয়েদেরই।
৫. প্রসব যন্ত্রণা: সবচেয়ে মারাত্মক জ্বালা। সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রচণ্ড কষ্টটাও মেয়েদের পোহাতে হয়।
৬. স্বাধীনতা ও প্রেমিক, কাকে বাছবে: নারীর ধারণা, পুরুষ সম্পর্কে থেকেও স্বাধীন থাকতে পারে। মেয়েরা তা পারে না। কেননা, যে মেয়ে স্বাধীনচেতা সে কোনওভাবেই সম্পর্কের বাঁধনে থাকতে চাইবে না। এদিকে একাকিত্বও তার পছন্দ নয়। ফলে প্রেমিক চাই। কী যে সে চায়, কী যে চায় না, এই নিয়ে সে নিজেও দোলাচলে। বাকিরাও। স্বাধীনতা ও সম্পর্কের মধ্যে কোনটা বেছে নেওয়া উচিত, সেটাই জানে না সে।
৭. স্তন: পছন্দ হলেও বারবার মনে হয় বুকের মধ্যে এই যে বাড়তি মাংসপিণ্ড, তা কেবল মেয়েদেরই কেন থাকে। এর জন্য অনেক বিধি, অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ব্রা পরো, স্প্যাগেটি পরো। কেন যে খোলা বুকে ঘোরা যায় না, প্রশ্ন জাগে প্রত্যেক মেয়ের মনে। প্রচণ্ড গরম, মেয়েরা পারে না জামা বা কুর্তি খুলে ঘুরে বেড়াতে। শত গরমেও, শত কষ্ট সহ্য করেও, তাদের দেহ ঢেকে রাখতে হবে। আর ছেলেদের দেখুন! যেখানে সেখানে, সবার সামনেই কী সুন্দর শার্টি খুলে ফেলতে পারে!
৮. দেওয়ালের গায়ে প্রস্রাব নয়: হাটে বাজারে, বাসেট্রামে বা দূরপাল্লার জার্নিতে মেয়েদের বড়ই কষ্ট। প্রস্রাব পেলে চোখের জলে, নাকের জলে হয়ে যায়। খুঁজতে হয় শৌচাগার কিংবা বাথরুম। যেখানে সেখানে যা খুশি করার অনুমতি নেই তাদের। আর ছেলেরা? তারা তো যত্রতত্র দাঁড়াতে পারে!