আমার সংবাদ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬, ০৫:২০ এএম
ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুন আজ। এবার বাঙালি প্রাণ যখন বসন্ত বরণ করছে তখন সম্ভাবনার এক নতুন বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব বাঙালি। এ স্বপ্নকে চেতনায় ধারণ করেই প্রকৃতিতে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক/আজ বসন্ত’।
গাছে গাছে ফুটেছে রক্তশিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম। বসন্ত বাতাস দোলা দিচ্ছে প্রতিটি মনে-প্রাণে। সেই প্রাণ আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গাইবে- ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’। বসন্তের প্রথম সকালে বাসন্তী রং শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়বে তরুণীর দল। পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরা ছেলেরাও সঙ্গী হবে বসন্তবরণের বিভিন্ন আয়োজনে। দখিনা হাওয়া, মৌমাছির গুঞ্জরণ, কচি-কিশলয় আর কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠার দিন আজ।
বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে নাগরিক বাঙালি। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ চলবে শহর থেকে গ্রামীণ জীবনেও। বসন্তকে তারা আরও নিবিড়ভাবে বরণ করে। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সর্বজনীন প্রাণের উৎসব পহেলা ফাল্গুন।
এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ প্রতি বছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। দিনভর চলবে তরুণ-তরুণীদের বসন্তবরণের উচ্ছ্বাস। বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার পাশাপাশি প্রতিবাদী নাচ, গান ও আবৃত্তিরও আয়োজন করেছে বসন্ত বরণ উৎসব পালনকারী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুরু হবে এ উৎসবে মূল অনুষ্ঠান।