জানুয়ারি ২৬, ২০১৫, ১১:০৫ এএম
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় চুলের লোমকূপে ময়লা জমে। এর ফলে মাথায় সহজেই খুশকি হয়। শুধু তৈলাক্ত নয়, যাদের মাথার ত্বক শুষ্ক তারাও এর শিকার হয়ে থাকেন। আবার গরম পানি দিয়ে গোসল করার কারণেও খুশকি হতে পারে। তবে একটু সচেতন হলেই কিন্তু খুশকির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে জেনে নিন কিছু টিপস-
১. জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
২. দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৩. তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এতেও ভালো পাবেন।
৪. কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে ২ দিন সেই তেল মাথায় লাগালেও খুশকি চলে যাবে।
৫. চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
৬. মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাতেও খুশকি চুলে যাবে।
৭. আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করলেও খুশকি থাকবে না।
৮. পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৯. লেবু খুশকি দূর করে। এজন্য শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
১০. হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করলেও খুশকি দূর হবে।
১১. ১ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ৫ চা চামচ নারকেলের তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটিও খুশকি দূর করতে কাজ করবে।
১২. ভিনেগার খুশকির হাত থেকে মুক্তির অন্যতম প্রধান উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এতে থাকা পটাসিয়াম এবং এনজাইম ইচি স্কাল্প আর খুশকি সারিয়ে তোলে। একটি কটন প্যাডে ভিনেগার নিন। তারপর চুলে বিলি কেটে কেটে পুরো মাথায় লাগান। সপ্তাহে ২ দিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন।
১৩. বেকিং সোডা খুব ভালো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। এক মুঠো শ্যাম্পুর সাথে এক টেবিল চামচ সোডিয়াম বাই কার্বনেট মিশিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করলে খুশকি দূর হবে।
১৪. এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ রসুন পেস্ট মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক যা মাথার ত্বকের চারপাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধ্বংস করে। এই অ্যান্টিডেনড্রাফ ট্রিটমেন্ট চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৫. খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আরেকটি ঘরোয়া উপায় হলো ৪ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বেসন মাথার তালুর তেল শোষণ করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে আর এভাবেই খুশকির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। গোসলের আগে এই প্যাক লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চাইলে শুধু মাত্র পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
১৬. আপেলে থাকা এনজাইম ডেড স্কিন সেল দূর করে। দুই টেবিল চামচ ফ্রেশ আপেলের রস ১ চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসঙ্গে চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।