অন্ধ ব্যক্তিরা টাকা চেনে কিভাবে?
আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০২:২৩ পিএম

আমাদের চোখ আছে বলে দেখতে পারি। সবকিছু পড়তে পারি। কিন্তু যাদের দুই চোখ নেই তারা কীভাবে টাকা চেনে?
ভিক্ষুকদের দান করার সময় দেখা যায় হাত ঘঁষে নোট ধরে ফেলছেন, কতটাকা দান করা হয়েছে। এর রহস্য কী? বিষয়টি অনেকেরই অজানা। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক।
অন্ধদের টাকা চেনার উপায় হিসেবে প্রতিটি নোটে blind embosing করা হয়ে থাকে। যাতে স্পর্শ করে তারা চিনতে পারেন টাকার মূল্যমান।
ব্যাংকের নোটের এক পাশে blind Dot সংযোজিত থাকে। যা স্পর্শ করলে বোঝা যায়। প্রতিটি দেশেই টাকার মধ্যে এমন নির্দেশিকা দেয়া থাকে।
বাংলাদেশে ১০০০ টাকার নোটে পাঁচটি, ৫০০ টাকার নোটে চারটি, ১০০ টাকার নোটে তিনটি, ৫০ টাকার নোটে দুইটি এবং ২০ টাকার নোটে একটি ডট সংযোজিত আছে।
এছাড়াও ডানদিকে তীর্যকভাবে সাতটি সমান্তরাল লাইন থাকে। যেগুলো ইন্তাগলিও কালি দিয়ে মুদ্রিত। একে ইন্টাগ্লিও লাইন বলা হয়। এটি অনুভূতিপ্রবণ পাবলিক সিকিউরিটি ফিচার।
হাতের স্পর্শে এই লাইন উঁচু-নিচু বা খসখসে লাগে। অন্ধকারে এটি সমান কার্যকরী। অন্ধদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তারা হাতের স্পর্শে সব বৈশিষ্ট্য খুব সহজেই টের পান। এর পাশাপাশি আছে ইন্টাগ্লিয় প্রিন্ট।
তারা হাতের স্পর্শে সব বৈশিষ্ট্য খুব সহজে টের পান। এর পাশাপাশি আছে ইন্টাগ্লিও প্রিন্ট। এতে নোটের উপর শক্ত ও অমসৃণ স্পর্শঅনুভুতি সৃষ্টি করে।
এভাবেই ডট চিহ্ন ও সমান্তরাল লাইন স্পর্শ করে অন্ধ ব্যক্তিরা টাকা শনাক্ত করে থাকেন। টাকার এই চিহ্নগুলো যদি কখনো খেয়াল না করে থাকেন তবে আজই একবার পরীক্ষা করে দেখে নিন।
আরআর