Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

কানে কম শোনে ১.১ বিলিয়ন টিনএজার!

মার্চ ২, ২০১৫, ০৬:৫৫ এএম


কানে কম শোনে ১.১ বিলিয়ন টিনএজার!

 

 

স্মার্টফোনে সঙ্গে ইয়ার ফোন জুড়ে দিয়ে হরহামেশা গান শুনি আমরা। টিনএজারদের মধ্যে এটি হাল আমলের ফ্যাশন বলা যায়।

এ ছাড়া কনসার্ট বা নাইটক্লাব অথবা বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান শুনতে পছন্দ করে টিনএজাররা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একটি হিসাবে বলা হয়, এভাবে গান শোনার কারণে এক শ কোটিরও বেশি সংখ্যক টিনএজার এবং তরুণদের কানের শব্দ গ্রহণক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

এই সংস্থার মতে, দিনে এক ঘণ্টার বেশি এভাবে গান শুনতে নেই।

ডাব্লিউএইচও মধ্যম এবং উচ্চ আয়ের দেশে এ নিয়ে একটি জরিপ চালায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ১২-৩৫ বছর বয়সীদের মাঝে গবেষণা পরিচালিত হয়।

দেখা গেছে, এদের ৫০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইয়ার ফোন বা অন্যান্য যন্ত্র থেকে গান শোনে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সিনেমা বা গানের অনুষ্ঠানে ৪০ শতাংশের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ডাব্লিউএইচও জানায়, ৮৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দ টানা আট ঘণ্টা শুনলে অথবা ১০০ ডেসিবল মাত্রার শব্দ ১৫ মিনিট শুনলেই শ্রবণশক্তি ক্ষতির শিকার হবে। ব্যস্ত কর্মস্থলে ৮৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দ টানা ৮ ঘণ্টা ধরে চলতেই থাকে। কাজেই এসব পরিবেশে যারা কাজ করেন, তাদের কানের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।

ইতিমধ্যে ১.১ বিলিয়ন টিনএজার এবং তরুণ-তরুণীর শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্যে অন্তত কম ভলিউমে গান শুনতে পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি দিনে এসব যন্ত্রের ব্যবহারের সময়ও কমিয়ে আনতে হবে।

প্রতিবছরের ৩ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে 'ইয়ার কেয়ার ডে' পালন করা হয়। এবারের এই দিনটিতে 'নিরাপদে শোনা' বিষয়টিকে মুখ্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বে টিনএজার এবং তরুণ-তরুণীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ডাব্লিউএইচও। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস