জুলাই ১২, ২০১৬, ০৪:৩২ এএম
সম্পর্কে ভাঙা-গড়ার খেলা থাকবেই। অনেক গভীর সম্পর্কও ভেঙে যেতে পারে। টিনএজারদের অভিজ্ঞতার অভাবে প্রেমের সম্পর্ক অহরহ ভেঙে যায়। আবার দীর্ঘদিনের দাম্পত্য সম্পর্কটাও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাই ঘটুক না কেন, সহজে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া উচিত নয়। সাধারণত দেখা যায়, বড় সমস্যার কারণে দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকারা সম্পর্কের ইতি টানছেন। এটা স্থায়ী বা অস্থায়ী হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, পরবর্তীতে আরো বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। পেছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. সম্পর্ক ভাঙনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কারণ না থাকলে তা দারুণ সমস্যার সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে দুজনই একে অপরের ত্রুটি দেখাতে থাকেন। আন্তযোগাযোগে অসংখ্যা ভুল উঠে আসে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, একই ঘটনার কারণে সত্যিকার যেকোনো সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
২. এ কাজে এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতর অবনতি ঘটতে থাকে। ভাঙনের আয়োজন নিয়েও অনেক সময় তা টিকে যায়। এমন হলে দ্বিতীয়বার আবারো সমস্যার সৃষ্টি হলে তা আবারো ভাঙার চিন্তা করা উচিত নয়। এতে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে।
৩. সম্পর্কে যেসব সমস্যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভাঙনের পরিকল্পনার মাধ্যমে তার কোনো কিছুই দূর হবে না। কিন্তু সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চিন্তা আপনাদের ভালোবাসাকে আরো দৃঢ় করবে। এর পেছনে সময় দিন।
৪. ভাঙনে যাওয়া উচিত নয়। অনেকের সম্পর্ক ভাঙার পরও আবারো তারা একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যান। এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভাঙনের ইতিহাসটা একটা ক্ষত হয়ে থাকে। এটি সহজে সারে না।
৫. অস্থায়ীভাবে একজন অপরজন থেকে দূরে দূরে থাকলেও ক্ষতি আছে। এতে সম্পর্কে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দুজনের মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে থাকে। ফলে পরবর্তীতে এ ঝক্কি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না।
৬. যে পক্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত আসুক না কেন, মনে ক্ষোভ জমা হতে থাকে। এই ক্ষোভ সহজে মন থেকে চলে যায় না। ঝামেলা মিটে যাওয়ার পরও মনের এই যাতনা ফিরে আসতে পারে।
৭. আসলে এর কোনো প্রয়োজনই নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে সম্পর্কে ভাঙনের বিষয়টি পুরোপুরি অপরিপক্কতার নিশানা। আপনাদের একজন বা উভয়ই অপরিণত মানুষের আচরণ দেখাচ্ছেন। কাজেই নিজের মানসিকতার বিকাশ ঘটান। সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
৮. অনেকে সম্পর্কে ধরন বুঝতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলানোর চিন্তা করেন। যেমন- কেউ ভাবলেন যে, কিছু দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে দেখা যাক আসলে তাকেই ভালোবাসেন কিনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ বিরতির পর কেউ আর কারো কাছে ফিরে আসেন না।