আগস্ট ১০, ২০১৬, ০৭:২৫ পিএম
বিভিন্ন রকম ফোবিয়ায় ভোগেন সারা পৃথিবীর মানুষ। কেউ খাড়া সিঁড়ির ওপর থেকে নীচে তাকালে ভয় করে? বা ঘুমের মধ্যে সাপের স্বপ্ন দেখেন? রাস্তায় কুকুর দেখলে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে বাড়ি যান? এই সব ছোটখাট ভয় নিয়ে আমরা অনেকেই হাসির পাত্র হয়ে উঠি অনেক সময়। তবে জানেন কি আপনার মতো আরও অনেকেই রয়েছেন পৃথিবীতে যারাও এমনই ভয়ে আক্রান্ত? এর মধ্যে কোনওটা আসল, কোনওটা শুধুই আতঙ্ক। জেনে নিন কোন ১০ ফোবিয়া সারা বিশ্বে সবচেয়ে কমন।
আর্কনোফোবিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মাকড়শার ভয় পান। এদের বলা হয় আর্কনোফোবিয়া। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ৩০.৫% আর্কনোফোব মানুষ রয়েছেন।
ওফিডিওফোবিয়া
যত রকম জ্যু ফোবিয়া রয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওফিডিওফোবিয়া বা জ্যু ফোবিয়া।সাপের ভয়। সারা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই ফোবিয়ায় ভোগেন।
অ্যাক্রোফোবিয়া
উঁচুতে ওঠা বা নীচে পড়ে যাওয়ার ভয় পান অ্যাক্রোফোবরা। বিশ্বের প্রায় ১০% মানুষ এই ফোবিয়ায় ভোগেন।
অ্যাগোরাফোবিয়া
খোলা জায়গা ভয় পান অ্যাগোরাফোবরা। পালাতে না পারার ভয় তাড়া করে এদের।
সাইনোফোবিয়া
পশু পাখিদের থেকে বিশ্বে যত রকম ফোবিয়া রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সাইনোফোবিয়া বা কুকুরের ভয়। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এই ফোবিয়ায় ভোগা ৩৬% মানুষ চিকিত্সা করাতে আসেন। সাইনোফোবদের মধ্যে ৭৫% মহিলা। সাধারণত এই ফোবিয়া শৈশবে শুরু হলেও, অনেক ক্ষেত্রে বড় হওয়ার পরও এই ফোবিয়া দেখা যেতে পারে।
অ্যাস্ট্রোফোবিয়া
বাজ পড়া, বিদ্যুত্ চমকানোর ভয় পান অ্যাস্ট্রোফোবরা। অধিকাংশ শিশু ও পশুদের মধ্যে এই ফোবিয়া দেখা যায়।
ক্লস্ট্রফোবিয়া
ছোট জায়গা, আটকে পড়া, ভিড় ভয় পান এরা। সারা বিশ্বে ৫-৭% মানুষ এই ফোবিয়ায় ভুগলেও চিকিত্সা করার মাত্র ২% মানুষ।
মিসোফোবিয়া
অতিরিক্ত জীবাণু বা নোংরার অস্বস্তিকর ভয় পান এরা। সাধারণত ওসিডি(অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার)-এর সঙ্গে যুক্ত এই ফোবিয়া।
এয়ারোফোবিয়া
সারা বিশ্বের ৬.৫ % মানুষ ফ্লাইটে চড়তে ভয় পান। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় এগোরাফোবিয়া। যার ফলে পালাতে না পারার ভয় পান।
ট্রাইপোফোবিয়া
এই ফোবিয়া যাদের থাকে তারা যে কোনও গর্ত বা ফুটো ভয় পান। স্পঞ্জ, শুকনো হানিকম্প বা যে কোনও ছিদ্রযুক্ত জিনিস চোখের সামনে দেখতে চান না ট্রাইপোফোবরা।