অ্যাপেন্ডিক্স কেন হয় জানেন কি?

অ্যাপেন্ডিক্স হলো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। এর তীব্রতা ও বৃদ্ধির হারের ওপর ভিত্তি করে, অ্যাপেন্ডিসাইটিস জটিল বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

অ্যাকিউট অ্যাপেন্ডিসাইটিস ক্রমবৃদ্ধি ও দ্রুত বেড়ে ওঠে, কিন্তু ক্রনিক অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং কম গুরুতর হয়।

কেন হয় অ্যাপেন্ডিক্স?

ক্যালকুলাস ও মল দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে ওঠে। সময়ে সময়ে লাসিকা গ্রন্থি ফুলে উঠে অ্যাপেন্ডিক্সের দেওয়ালে চাপ দিতে থাকে। ফলে অ্যাপেন্ডিক্সের মধ্যে বাধার সৃষ্টি হয়।

ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশনের কারণে লসিকা গ্রন্থিগুলো ফুলে ওঠে। এই বাঁধা রক্ত সঞ্চালনকে বিঘ্নিত করে এবং অবশেষে যা অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে।

অস্ত্রোপচার

একবার ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাপেন্ডিক্স ধরা পড়লে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দেহ থেকে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করে ফেলাই সব থেকে ভালো চিকিৎসা। মানব দেহে অ্যাপেন্ডিক্স কোন মৌলিক ভূমিকা পালন করে না এবং এটির অপসারণের পরেও শরীরের অন্যান্য কোন অঙ্গের কাজে বিঘ্ন ঘটে না।

অ্যাপেন্ডেকটমি প্রক্রিয়াকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসে অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ ও সহজ ধরণের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে, অ্যাপেন্ডেকটমি প্রক্রিয়াটি জটিল নয়। অস্ত্রোপচারের পর দুই সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব।

তবে সেরে ওঠার এই সম্ভবনা কমে যায় যখন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু হয় না।

অ্যাপেন্ডিক্সের কারণে

অ্যাপেন্ডিক্স বেড়ে ওঠার একটি মূল কারণ ভুল খাদ্যাভ্যাস। ফাইবারে পূর্ণ খাবার বেঁছে নেওয়া ও সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মান বজায় রাখা, কার্যত এই অসুস্থতাকে এড়িয়ে দিতে সক্ষম।

যে কোন বয়সের যে কোন কোন ব্যক্তিই অ্যাপেন্ডিসাইটিস দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।