Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৮ জুন, ২০২৫,

পাকস্থলীর ক্ষত সারাতে ঘরোয়া ১০ উপায়

জানুয়ারি ৭, ২০১৭, ০১:০০ পিএম


পাকস্থলীর ক্ষত সারাতে ঘরোয়া ১০ উপায়


পাকস্থলীর ক্ষত বা পেপটিক আলসার একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এর সম্মুখীন হন। এই পাকস্থলীর আলসার হলো, খোলা ঘা বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর উপর ক্ষয়।

যন্ত্রণাদায়ক ঘা নিয়মিত মদ্যপান, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ইমিউন অস্বাভাবিকতা এবং এস্পিরিন ও ইবুপ্রফেনের মতো নির্দিষ্ট ওষুধের কারণে সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি সাধারণত ঘটে যখন হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাচক তরলে এবং পেটের এনজাইম পেপসিন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালীর ক্ষতি করে।

এই পাকস্থলীর আলসার যা গ্যাস্ট্রিক আলসারও বলা হয়, যদি গ্রহণীতে হয় তাহলে তা গ্রহণীসংক্রান্ত আলসার হিসাবে পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক এবং গ্রহণীসংক্রান্ত আলসার একসঙ্গে পেপটিক আলসার বলে উল্লেখ করা হয়।

বোল্ডস্কাই থেকে পাকস্থলীর আলসার নিরাময়ে ১০টি ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হলো। যা মুহূর্তে আপনার আরোগ্যে সাহায্য করতে পারে।

বাঁধাকপি

বাঁধাকপির রস পেটের আস্তরণ জোরদার করবে এবং স্বাভাবিকভাবেই আলসার নিরাময় করতে সাহায্য করবে। এই রস প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।

মেথি পাতা

পাকস্থলীর আলসার নিরাময় করতে এক কাপ পানিতে মেথি পাতা ফোটান। এক চিমটি লবণ যোগ করুন। দিনে দু’বার এই উষ্ণ গরম পানিটি পান করুন পেট সুস্থ করার জন্য।

কলা

কলা, পেটের আলসারের জন্য ভালো। এতে ব্যাকটেরিয়ারোধী পদার্থ আছে যা স্বাভাবিকভাবেই পেটের আলসারের বৃদ্ধি মন্দীভূত করে।

মধু

মধু পাকস্থলীর প্রদাহ হ্রাস করার জন্য উত্তম উপাদান। এছাড়াও মধু অন্যান্য রোগ রোধ করতে সাহায্য করে। অতএব, সকালে আপনার ব্রেকফাস্ট খাবার সঙ্গে এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খেয়ে নিন।

রসুন

পাকস্থলীর আলসারে ভুগছেন, প্রতিদিনের আহারে রসুন যোগ করুন পেটের প্রদাহ থেকে আরাম পেতে।

মরিচ

কাঁচা মরিচ আলসার প্রতিরোধ করে এবং পরিত্রাণ পেতেও সাহায্য করে। মরিচ একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার যা পাকস্থলীর ভিতরের ব্যাকটেরিয়াকে নিধন করে।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হলো সেরা ঘরোয়া প্রতিকার পাকস্থলীর আলসারের চিকিৎসার জন্য। কাজুবাদাম এবং মাছের মত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে থাকুন।

নারিকেলের পানি

নারিকেলের পানি পেট ঠাণ্ডা রাখে, বিশেষ করে যখন আপনি আলসার সংক্রমিত হন। নারিকেল পানি উপস্থিত বৈশিষ্ট্য, পেটের আরোগ্য এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলে আন্টি-ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য আছে যা পেটের আলসার ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। উদ্ভিজ্জ তেল এড়িয়ে চলুন এবং আপনার খাবারের মধ্যে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

তাজা রস

তাজা রস আরও একটি ঘরোয়া প্রতিকার যা স্বাভাবিকভাবেই পেপটিক আলসার নিরাময় করে। কমলা লেবু ও আঙ্গুরের রস পান করুন।