Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

আচমকা ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠা, জেনে নিন এমনটা হওয়ার কারণ!

মে ১৪, ২০১৭, ০৬:১৩ এএম


আচমকা ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠা, জেনে নিন এমনটা হওয়ার কারণ!

সারাদিন কঠিন পরিশ্রমের পর রাতে বিছানায় ঘুমাতে গেলেন। চোখের পাতা দু’টো এক হয়ে এসেছে। ঠিক এমন সময় কেঁপে উঠলেন। মনে হল এই বুঝি পড়ে যাচ্ছিলেন। আপনার কাছে এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই নতুন নয়। একবার না, একাধিকবারই হয়তো স্বপ্নের মধ্যে এই পড়ে যাওয়ার অনুভূতি আপনার হয়েছে। সকলের সঙ্গে না হলেও বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে হিপনিক জার্ক। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এই হিপনিক জার্ক হয়ে থাকে। ঘুম আসা ও ঘুমিয়ে পড়ার সন্ধিক্ষণে হঠাৎ শরীরে ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। একে বলে হিপনাগগিক স্টেজ। ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটি আসলে রোগই নয়, বিশেষ কিছু কারণে মানুষের দেহে হিপনিক জার্ক হয়ে থাকে।

ঘুমের সময় হাত, পা অনেক বেশি শিথিল হয়ে যায়৷ মস্তিষ্ক তখন ভুল করে বার্তা দেয়, শরীর বোধহয় পড়ে যাচ্ছে৷ নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখার চেষ্টাতেই হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে শরীর। সাধারণত ঘুম এসে গেলে হাত বা পা বা দেহের অন্য কোনো অঙ্গ নড়ে উঠলে শরীর এমন কেঁপে ওঠে। এছাড়া বাইরের জোরে শব্দ ও চড়া আলো চোখে পড়লেও জার্ক হয়ে থাকে।

দেহের কোনো অংশে, বিশেষ করে পায়ে ঝিঁঝি ধরে গেলে বা চুলকালে তার থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের মধ্যেই পা ঝাঁকানোর চেষ্টা করে মানুষ৷ আর তখনই কেঁপে ওঠে সারা দেহ৷ ঘুম ভেঙে যায়৷ আর ঘুম ভাঙতেই মস্তিষ্ক জানান দেয়, আপনি হয়তো পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন৷ মদ্যপান করে ঘুমোলেও এমনটা হতে পারে৷

রাত জেগে টিভি দেখাও হিপনিক জার্কের অন্যতম কারণ। বিজ্ঞানের ভাষায় একে নারকোলেস্পি বলে৷ স্নায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনে শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। শরীর অসুস্থ থাকলেও হতে পারে হিপনিক জার্ক৷ ঘুমের মধ্যে শিথিল দেহ পড়ে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা থেকে জোর ঝাঁকুনি হয় শরীরে৷ আর খানিকক্ষণের জন্য ঘুম যায় উড়ে। অফিসের অতিরিক্ত চাপ মাথায় নিয়ে ঘুমোতে গেলেও এমন ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত উত্তেজনার জন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে৷ ফলে চিন্তায় ঘুম ভেঙে যায়।

প্রতিটি মানুষের জীবনেই ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম৷ সারাদিনের ক্লান্তির পর কয়েক ঘণ্টা শান্তির ঘুম না হলে পরের দিন কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না৷ তবে হিপনিক জার্ক কোনো রোগ নয়। তাই এর চিকিৎসা করাও সম্ভব নয়৷ আর সেই কারণেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই আপনাকে সারা জীবন কাটাতে হবে।