আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৫:২৭ এএম
কিডনি মানব দেহের একটি সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের কাজ করে। তাছাড়া শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। বিভিন্ন কারণে কিডনির নানা সমস্যার দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া।
তবে আশা কথা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হলেও চিন্তার কারণ নেই। কি কি কারণে কিডনিতে পাথর হওয়া এবং তা রোধ করতে পারবেন খুব সহজেই। জেনে নেয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে, যা হয়তো আপনার জানা ছিলনা।
পানি পান করুন
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।
ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল খান
লেবু, কমলা, মালটা ইত্যাদি সাইট্রাস জাতীয় ফল কম খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ধরণের ফল অবশ্যই রাখুন।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খান
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম না থাকা এবং ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কাচা দুধ, ব্রকোলি, আলমন্ড, পনিরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।
কাচা লবন খাবেন না
অনেকেই খাবারে লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।
ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া
যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন তারা অতিরিক্ত মাথাব্যথার থেকে মুক্তি পেতে ঔষধ সেবন করেন। কিন্তু এই ঔষধের সবচাইতে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা। কারণ এই ধরণের ঔষধ মূত্রনালির পিএইচ এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে যা কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল পানীয় পানের কারণেও কিডনিতে পাথর জমে। এই ধরণের কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও চিনি থাকে যা মূত্রকে অ্যাসিডিক করে তোলে। এর ফলে আপনার কিডনীতে পাথর হবে। তাই, এড়িয়ে চলুন কোমল পানীয়।