আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ২৩, ২০১৮, ০৫:০৮ এএম
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে কাজের ফাঁকে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে আঙুল ফোটানোর। আঙুল ফোটালে একধরনের জোড়ালো “ক্র্যাকিং”, শব্দও হয়। সাধারণত ধারণা কারা হয়, আঙ্গুল মোচড়ানোর সময় হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে বুঝি শব্দ হয়। ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়। সেখানে হাড়ের মধ্যে ঘষা লাগেনা। আমরা যখন আঙুল ফোটাই,আঙুল গুলোকে আমরা সাধারনত এমন পরিমান বেন্ডিং করি, যেটা সাধারন ভাবে আঙুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের জয়েন্ট গুলোর চারপাশে একধরনের ফ্লুইড থাকে, যেটাকেfinger.jpeg বলা হয়, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড।
যখন আমরা এভাবে আঙুল গুলোকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সরিয়ে আনি, এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং একটা বাবল তৈরী হয়, যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়, এই বাবল ফাটার শব্দটাই হচ্ছে, আঙ্গুল ফোটানোর শব্দের উৎস। আঙুল ফোটানো ভাল না খারাপ? সাধারনত আঙুল বা পিঠের হাড় ফোটালে আমাদের হাত বা পিঠ সাময়িক কিছু আরাম পায়, ঐ অঞ্চলের জড়তাটা কাটিয়ে উঠানো যায়, এই অর্থে আঙুল ফোটানোটা ভাল।
আঙুল ফোটানোর সাথে বুড়ো বয়সে আর্থারাইটিস হবারও কোন সম্পর্ক নেই। তবে যারা অনেক বেশি আঙুল ফোটান, আস্তে আস্তে তাদের জয়েন্ট কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেজন্য কাজের ফাঁকে হাত বা পিঠ-কে আরাম দেবার জন্য মাঝে মধ্যে আঙুল ফোটানো যেতে পারে,কিন্তু সেটা যেন বদভ্যাসে পরিণত না হয়।