আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ২৭, ২০১৮, ১২:৪১ পিএম
মুখের ভেতর, জিহ্বায় বা গালের ভেতর ঘা হলে অনেকেই ঘাবড়ে যান। বারবার এমন সমস্যায় আক্রান্ত হন কেউ। এটা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। খাওয়ার সময় কষ্ট হয়, জ্বালা করে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভিটামিন 'সি' বা 'ডি'র অভাব কিংবা পেট পরিষ্কার না থাকার কারণে হতে পারে মুখে ঘা। এতে বেশ জ্বালা পড়া যেমন হতে থাকে তেমনি তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
কারণ:- ভিটামিন ও আয়রনের স্বল্পতার কারণে। যেমন ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ অথবা অন্য কোন ভিটামিন। ঠাণ্ডা লাগলে মুখে ঘা হতে পারে। মুখের মাড়ি আঘাতগ্রস্ত হয়েও অনেক সময় এই ঘা হয়। জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করলেও এ ঘা হয়। ধূমপান, নেশা জাতীয় জিনিস, পান, মদ খেলেও মুখে ঘা হয়। যাদের এইডস, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এমন রোগ আছে তাদের এ ঘা হয়।
রাতে ঘুম না হলে অথবা দেরি করে ঘুমালে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করলেও মুখে ঘা হতে পারে। বংশগত কারণেও মুখের ভিতর আলসার হয়। মুখে অ্যালার্জি থাকলেও এই ঘা হতে পারে।
মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ছোট ছোট দানার মতো ঘা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনিতে সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোনো দুশ্চিন্তা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
এছাড়াও অজান্তে মুখ বা জিবে কামড় পড়লে, শক্ত টুথব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁত ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলেই ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে।
করনীয়:- মুখ লবণ বা বেকিং সোডা দিয়ে কুলকচি করতে হবে। সব ধরনের পানীয় যেমন চা বা কফি পরিহার করতে হবে। কাঁচা পেয়াজ খেতে পারলে বেশ উপকারে আসবে যা ঘা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে হবে যেমন কমলা, লেবু কিংবা মরিচ। চুন কিংবা গুল মিশ্রিত পান খাওয়া পরিহার করতে হবে। জল বেশি করে পান করতে হবে প্রতিদিন নিয়মিত আট গ্লাস করে যা পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে রাখবে এবং মুখে ঘা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে।মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই স্কেলিং করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিত্সা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভিটামিন 'বি'-র স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে ঘরে। বসে গরম জলে লবন অথবা বেকিং সোডা দিয়ে কুলি করলে আরাম পাবেন।
তাছাড়া ১ চিমটি বেকিং সোডা আর একটু জল নিয়ে মিশিয়ে ঘা এর উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। ঘা এর উপর পিয়াজ দিলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন, কিন্তু অনেক ব্যথা বাড়বে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঘা এর উপর ভেঙ্গে দিন। অথবা টি ব্যাগ ঘা এর উপর রেখে দিন। এতেও দ্রুত নিরাময় হয় ঘা।
সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে এই ঘা ভালো হয়ে যায়। আর যদি তা না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। মাউথ ওয়াশ মুখের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। উপরোক্ত কাজগুলো ছাড়াও আপনি এন্টি ব্যক্টেরিয়াল জাতীয় মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন প্রতি রাতে ব্রাশ করার পর। সুষম খাদ্য খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল বেশি বেশি খেতে হবে।