Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

লেবুর ক্যাংকার রোগ দমন

জুন ১১, ২০২১, ১০:৪০ এএম


লেবুর ক্যাংকার রোগ দমন

আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় একটি অত্যাবশকীয় ও জনপ্রিয় ফল লেবু। দেশে লেবু চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও রোগবালাই এর কারণে চাষীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিভিন্ন রোগের মধ্যে লেবুর ক্যাংকার মারাত্মক ও সবচেয়ে ক্ষতিকর।

রোগের কারণঃ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়। এটি গাছের প্রায় সব অংশে আক্রমণ করে। পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এছাড়াও বাতাস, পানি মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

লক্ষণঃ ক্যাংকার রোগের ফলে গাছের পাতা, ফল, ডগায় ছোট ছোট হলুদ দাগ পড়ে।  পরে এই দাগ একত্রিত হয়ে পুরু ও বড় হয়ে যায়। দাগের চারদিকে ফোস্কার মতো হলুদ আভা থাকে যা ফলে ও পাতায় বেশি দেখা যায়। দেখতে দাদ রোগের মত কিছুটা। আক্রমণ তীব্র হলে গাছ মরে যায়।

প্রতিরোধঃ বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বর্ষা মৌসুমের আগেই লেবু গাছ ছাটাইকরণ করতে হবে। পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনে বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হবে। আক্রান্ত মরা গাছ মূলসহ তুলে পুতে ফেলতে হবে। কপার অক্সিক্লোরাইড বা কপার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করলে এ রোগ কম হয়।

প্রতিকারঃ আক্রান্ত ফল ও পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এরপর কপার গ্রæপের কীটনাশক ৫ গ্রাম/১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ব্যাক্টেরিয়ানাশক যেমন-ব্যাকট্রোবান ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম মিশিয়ে ৭ দিন পর পর স্প্রে করা যাবে। ব্যাকট্রোবান ও কপার পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

পাতা সুড়ঙ্গ পোকা দমনে জৈব বালাইনাশক এজাডিরেকটিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন-নিমবিসিডিন (২ মিলি/লিটার)/ফাইটোম্যাক্স (২ মিলি/লিটার) অথবা বায়োনিম বা বায়োনিম প্লাস (৩ মিলি/লিটার) স্প্রে করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলি নিম খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছের পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায়। আক্রমণ বেশি হলে ক্লোরপাইরিফস, সাইপারমেথ্রিন বা ডাইমেথয়েট বা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

লেখক-মালীহা তৃপ্তি শিক্ষার্থী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আমারসংবাদ/এআই