আমার সংবাদ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ০৯:১৫ এএম
নাশপাতি রোজাসিয়ে পরিবারের পাইরাস গণভুক্ত উদ্ভিদ ও তার ফলবিশেষ। ঠান্ডা অবস্থায় পাকা নাশপাতিতে চমৎকার সুগন্ধ রয়েছে।
এগুলো রসালো তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালভাবে পাকে না। ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। আবরণ অংশটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম।
নাশপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, বি ২, ই, ফলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিন পুষ্টিকর উপাদান। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলেরও উৎকৃষ্ট উৎস।শুধু তাই নয়, নাশপাতিতে চর্বি এবং ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে নাশপাতি উৎপাদিত হলেও সম্প্রতি এর খাদ্যগুণ দৃষ্টি কেড়েছে সবার।
এ ছাড়া নাশপাতির রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা–
** কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির জুড়ি নেই। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
** উচ্চমাত্রায় মিনারেল থাকার কারণে নাশপাতি দেহে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এটি হরমোন উৎপাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের ১০ শতাংশ নাশপাতিতে বিদ্যমান।
** নাশপাতিতে আছে ৬ গ্রাম সলিউবল ফাইবার, যা আপনার কোলেস্টেরল কমায় ও আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
** এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
** করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপাতি খেলে খুবই উপকার হয়।
এ ছাড়া দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।
আমারসংবাদ/এএজে