Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

শীতে মধুর যত উপকারিতা 

আমার সংবাদ ডেস্ক

নভেম্বর ৩, ২০২১, ১১:৪০ এএম


শীতে মধুর যত উপকারিতা 

শুধু শীতকাল না সারাবছরই মধু শরীরের জন্য উপকারী। মধুতে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো শীতকালে শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি রয়েছে।

এছাড়া এনজাইম, বিভিন্ন খনিজ যেমন পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও প্রোটিন আছে। মধুতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এ জন্য সবাই নিশ্চিন্তে মধু খেতে পারেন। মধু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, পেটের আলসার ভালো করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। মধুর কিছু ব্যবহার নিচে দেয়া হলো:

সর্দি-কাশিতে : শীতে সর্দি-কাশিতে ভোগা যেন একটি সাধারণ সমস্যা। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে সেবন করুন। এছাড়া বাসক পাতার রসের সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও সর্দি-কাশি সেরে যায়।

পাকস্থলীর সমস্যায় : যারা পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করতে পারেন। এতে পাকস্থলীর সমস্যা দূর হয়।

শক্তিবৃদ্ধি : শারীরিক দুর্বলতায় যারা ভুগছেন তাদের জন্যও মধু উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে দুই থেকে তিন চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

শিশুর জন্যও উপকারী : শিশুর ওজন বৃদ্ধি, তাদের মুখের রুচি বাড়াতে এবং শিশুর পেট ভালো রাখতে মধুর বিকল্প নেই। এ জন্য প্রতিদিন গরম দুধ অথবা পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

হৃদরোগে : নিয়মিত মধু সেবন হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : নিয়মিত মধু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধু দাঁত শক্ত করে। দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। 

কাটাছেঁড়া: দেেহের কোথাও সামান্য কাটাছেঁড়া থাকলে মধুর প্রলেপ দেয়া যায়। মধুতে উঁচু মাত্রার জীবাণুনাশক উপাদান থাকায় সহজে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়। মৌমাছি ফুল থেকে যে মধু সংগ্রহ করে তাতে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পানি থাকে। ওরা নিজেরা কিছু রস খেয়ে বাকিটা মৌচাকে জমা করে। সূর্যতাপে পরিশোধিত হয়ে মধু বিভিন্ন গুণ অর্জন করে। এর জলীয় অংশও অনেক কমে যায়। ফলে কাটাছেঁড়া স্থানে মধুর প্রলেপ দিলে প্রথমে সেখান থেকে জলীয় অংশ শুষে নেয় ও বাইরের জলীয় পদার্থ ঢুকতে দেয় না। জলীয় অংশ না থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু বাঁচতে পারে না। এভাবে মধু ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। 

গ্যাস্ট্রিক-আলসার: গ্যাস্ট্রিক-আলসারে মধু উপকারে আসে। ১০০ গ্রাম কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ঘুম: রাতে শোয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয়।

মধুর অপকারিতা: 

  • যাদের এলার্জি আছে, মধু খেলে তাদের সমস্যা হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় নারীদের মধু না খাওয়ানোই ভালো।
  • কারো কারো ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে।