Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

কলমের ছোঁয়ায় অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে চুরে দেন যে ‘আরিফ’

এপ্রিল ১১, ২০২১, ০৬:২০ এএম


কলমের ছোঁয়ায় অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে চুরে দেন যে ‘আরিফ’

অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে, বিশ্বাসের খুটি দাড়ঁ করোনা যার নেশা। অন্ধকার,অজ্ঞতা, কুসংস্কারকে মাটিতে পিষ্ঠ করে সঠিক পথের দিকপাল দেখাতে যার জুড়ি মেলা ভার। অবিশ্বাসের দেয়ালে অনুপম র্স্পশে বিশ্বাসের ছোঁয়া দিতে যার মুন্সিয়ানা তিনি 'আরিফ আজাদ'। 

বর্তমান তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয় তিনি। তিনি আলোড়ন তুলেছিলেন তার লেখা প্রথম বই দিয়েই। অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গেচুরে মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসাই তার লেখার মূল উদ্দেশ্য। 

ইসলামের পথে শান্তির পথে কল্যাণের পথে পাঠকদের আগ্রহী করে তুলেন তিনি। মনের সংশয় দূর করে সববয়সী মানুষের আখিরাত ও দুনিয়ায় জীবন যেন হয়ে উঠে সৌন্দর্যমন্ডিত, এটাই বোধকরি লেখকের চাওয়া। আরিফ আজাদের বইগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় বইগুলো হলো;

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
ঘুটঘুটে অন্ধকার! সেই অন্ধকার গ্রাস করে আছে সবকিছু। এমন সময় কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এক উষ্ণ আলোক রশ্মি। সেই আলোর পরশে নিমিষেই মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাত। প্রভাতী কিরণের মতোই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই আলোক রশ্মি। যাত্রা হয় এক নতুন দিনের,নতুন সময়ের। এমনই আবহে সত্য ও পবিত্র পথের সন্ধানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সাজিদ- আর অবিশ্বাসের গেঁথে যায় বিশ্বাসের কথামালা। ভেঙে পড়ে অবিশ্বাসের দেয়াল। সত্যের ইমারত নিয়ে নির্মিত হয় সাজিদ চরিত্র। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটি পড়েই হাজারো মানুষ বিশ্বাসের শেকড় শক্ত হয়। আর ভেঙে যেদে থাকে অবিশ্বাসীদের শেকড়। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ দুটো সিরিজের বই।

বেলা ফুরাবার আগে
পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উদিত....জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে। কতশত কাকডাকা ভাের। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মােহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে। তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলে ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটি ভিড়িয়ে নিতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক। বেলা ফুরাবার আগে ফিরে আসা যাক দ্বীনের পথে।

মা মা মা এবং বাবা
মা, বাবা এর প্রতি ভালোবাসা, ভক্তি, তাদের প্রতি অবহেলার পর ফিরে আসার গল্প আছে এখানে। আবার মা বাবার প্রতি খারাপ আচরনের কারনে দুনিয়ায়তেই নানা বিপদে পড়ার উদাহরন পাওয়া যাবে। সন্তানের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন এখানে মিলবে। তাদের প্রতি নিজের সব বিলিয়ে দেয়ার গল্প পড়ে চোখ ভিজবে। সন্তান লালন পালনের কিছু টিপস যেমন পাওয়া যাবে তেমনি মা বাবার জন্য চক্ষু শীতলকারী হবার নানা টোটকাও মিলবে এই বইয়ে।যাদের মা বা বাবা অথবা উভয়েই মারা গিয়েছেন তারা কিছুটা আক্ষেপে ভুগবেন তাদের যথাযথ সম্মান দিতে পারেন নাই এমন অনুভূতি হবার কারনে। তাই যাদের সুযোগ আছে তারা অবশ্যই বইটি পড়ে নিন। কয়েকটি গল্পের নাম দেখে নিনঃ মায়ের চিঠি, অনুশোচনার গল্পঃ হারিয়ে ফেলার পর, আনুগত্যের গল্পঃ সঠিক পথের দিশা, মায়ের অভিশাপ, অশুভ পরিনাম, সেতুবন্ধন ইত্যাদি।

জীবন যেখানে যেমন
একটা জীবন ভিন্ন ভিন্ন স্রোতে,ভিন্ন ভিন্ন রুপে আমাদের চোখে ধরা দেয়।অথবা,আমরাও তার সুনিপুণ শিল্পীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হই। কিছু গল্প নিয়ে তৈরী হয়েছে জীবনের একটা প্রতিচ্ছবি। আর সেই প্রতিচ্ছবিতে দেখা যাচ্ছে জীবনের অনেক গুলো রুপ,অনেকগুলা বাঁক। আর বাঁকমেলা সেই গল্পগুলোই লেখক তুলে এনেছেন তার এই বইয়ে যেখানে ছিল এক একটি ক্ষুদে বার্তা। বইটি অমর একুশে গন্থমেলা ২০২১ এ এসেছে।

লেখক আরিফ আজাদের জনপ্রিয় বই গুলোর মধ্যে, জীবন যেখানে যেমন, নবী জীবনের গল্প, ,জবাব এ তিনটি বই  বইমেলা ২০২১ এ প্রকাশিত হয়েছে।গল্পগুলো অন্যরকম(২০১৯), আরজ আলী সমীপে(২০১৮), প্রত্যার্বতন(২০১৮), মা মা মা এবং বাবা(২০১৮), প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১(২০১৭), প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২(২০২০), বেলা ফুরাবার আগে(২০২০) সালে প্রকাশিত হয়।

প্রসঙ্গত, লেখক আরিফ আজাদ জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকেই লেখালেখির হাতেখরি। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতেই বেশ পছন্দ তার। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লিখেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়ান তিনি। আরিফ আজাদের প্রতিটি বইই বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যধিক জনপ্রিয়। প্রতিবছর বই মেলায় আরিফ আজাদের বই বেস্ট সেলারে শীর্ষে থাকে। অনলানে বই বিক্রিতেও র্শীষে আরিফ আজাদের প্রতিটি বই। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরিফ আজাদের সৃষ্টি জনপ্রিয় চরিত্র সাজিদ হতে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। একজন লেখকে পাওয়া বুঝি এটাই।

আমারসংবাদ/এআই