Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আরিফ আজাদের ‘জীবন যেখানে যেমন’ বইটি যেন জীবনের দর্পণ 

খাদিজা ইসলাম

জুন ৩, ২০২১, ০৩:০৫ পিএম


আরিফ আজাদের ‘জীবন যেখানে যেমন’ বইটি যেন জীবনের দর্পণ 

সময়ের জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের জীবন যেখানে যেমন বইটি আমাদের সুষ্ঠু সুন্দর জীবনের প্রতিচ্ছবি। শুরু থেকে শেষ অবধি গল্পে গল্পে মুসলিম সাহিত্যের উন্মোচন করেছেন লেখক। তুলে ধরেছেন স্রষ্টার প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবেগ, অনুভূতি, কখনো বা পথহারা পথিকের সন্ধান দিয়েছেন তিনি।  জীবনের রং তুলে ধরেছেন বাহারি রঙে।হতাশা গ্লানি দূর করার কৌশল শিখিয়েছেন।দেখিয়েছেন আলো কিভাবে ফেরি করতে হয়।সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েও শেষ অবধি বিবেক জাগ্রত করেছেন মানব মনে।মানবের সত্যনিষ্ঠ জীবন কর্মই নিয়েই গল্পে আর ছড়ার ছন্দতালের প্রতিকৃতি জীবন যেখানে যেমন। বইয়ের প্রথম থেকে শেষ অবধি তারই বর্ণনা করেছেন লেখক।

বইয়ের প্রথমে যে গল্পটি তা হলো ‘অশ্রু ঝরার দিনে’। এখানে কল্পনায় শহিদুলের সাংসারিক জীবনের আবর্তে আমাদের চারপাশে দেখা জীবনের রেখাপাত করেছেন লেখক।শহিদুল এবং তার স্ত্রীর একান্ত সুন্দর ইসলামি জীবনে কালো ছায়া নেমে আসে। যেখানে একটা সময় তাদের সন্তান অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পাড়ার লোকেরা শহিদুলের স্ত্রী কে নানান কটু কথা বলে কষ্ট দিচ্ছেন। তবে আজ চেতনাময়ী শহিদুল লা জওয়াব। সন্তানের সূত্র  ধরে তাদের ভালোবাসার ভাঁটা পড়ে, শেষ হয় বিচ্ছেদ দিয়ে। চিঠিতে মনের আবেগ লিখে গেছেন শহিদুলের স্ত্রী। চিঠি পড়ে শহিদুল কে যেন নিজের বিবেক তাঁড়া করছে। কোথাও যেন তিনি স্ত্রীর প্রতি অবিচার করে ফেলেছেন, শেষ সময়ে এসে বুঝতে পেরেছেন।

‘এই প্রেম এই ভালোবাসা’ গল্পটিতে লেখক পরিপূর্ণ ইসলামী জীবন যাপনের ছবি অঙ্কিত করেছেন রেবেকার সংসার জীবনের মধ্য দিয়ে। স্বামী -স্ত্রীর ভালোবাসার এক অদম্য স্বর্গ সুখ যেন নিহিত রয়েছে। আদর্শ স্বামীর কল্পে রেবেকার স্বামীকে দিয়ে ইসলামী জীবনে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি।স্ত্রী সারাদিন ঘরের কাজ করে বিনিময়ে শুধু ভালোবাসা চাই। বেরেকার স্বামীর চোখে পড়েছে একজন নারী সংসারের জন্য কত কষ্ট করে যায়। আপন মানুষ গুলোকে ভালো রাখার প্রতিনিয়ত কষ্ট করে যান। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ থাকলেও মনে তার লেশমাত্র নেই। স্বামী স্ত্রীর দুষ্ট মিষ্টি গল্প ইসলামিক ভাবধারায় লেখক তুলে ধরেছেন। 

‘আসমানের আয়োজন’ গল্পটিতে কল্পনার আশ্রয়ে বাস্তব জীবন দান করেছেন লেখক। ছমিরুদ্দিন চাচার স্রষ্টার প্রতি ভরসা ভালোবাসা, আবেগ, অনুভূতি, সহজ সরল জীবনের কথামালা দিয়ে সাজিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ। টুপির ব্যবসা করে ছমিরুদ্দিন চাচা জমি কিনে মসজিদ বানিয়েছেন।নিজের সন্তানাদির জন্য দুনিয়াবী সম্পত্তি রেখে যান নি। কেননা তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন রিজিকের মালিক আল্লাহ। একসময় তার এই আধো মসজিদ আল্লাহ পাক পূর্ণ করে দেয়। টুপির এ ব্যবসা থেকে সন্তানদের জীবনে শ্রাবণের বর্ষার মতো সুখ বৃষ্টি বর্ষণ করেন রব।লেখক আরিফ আজাদ গল্পের রেশ ধরে আল্লাহ পাকের ওপর তাওয়াক্কুুল করলে যে তিনি তার বান্ধাদের ফিরিয়ে দেননা তা বুঝাতে চেয়েছেন।

‘চাওয়া না চাওয়া’ গল্পটি গল্প নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের চারপাশে এমন হাজারো মা আছে যারা কন্যা সন্তান জন্মা দিলে স্বামী তাদের উপেক্ষা করেন। তেমনি এক সত্য গল্পের সমাহার চাওয়া না চাওয়া গল্পটি। একজন মা শত প্রসব যন্তনা সহ্য করে যখন সন্তান জন্ম দেন তখন সেই মূহুর্তে তার স্বামী তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার সন্তানেরা মায়ের এ করুণ মৃত্যু দেখেও বাবাকে কিছু বলতে পারে নি। মায়ের শেষ বাক্য ছিল তোর বাপের মতো হইস না। মায়ের এই কথাটা তার সন্তান বাস্তবে রুপ দিয়েছেন নিজের জীবনে।লেখক আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন জীবনের চরম সত্য রুপ।

‘এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা’ গল্পটি তে একজন মহিয়সী নারীর চিত্র অংকন করেছেন লেখক। একজন বিধবা নারীর দুঃখ কষ্ট মনের গহিন থেকে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন ফাতেমা।নিজের স্বামী কে বুঝিয়ে রাজি করেছেন তার বিধবা বন্ধুর বউকে বিয়ে করে তাদের দায়িত্ব টা নিতে। তাদের মধ্যকার ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলনা। অবশেষে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অসহায় বিধবা নারী এবং তার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন ফাতেমার স্বামী।

‘জীবনের রকমফের’ গল্পটি ভার্চুয়াল জগতের একটা বড় অংশ লেখক তুলে ধরেছেন। যা আমাদের বাস্তব জীবনে নিদারুণ ভাব প্রভাব ফেলে প্রতিটি সংসারে। একজন মা সন্তান সামলানো থেকে নিয়ে সংসারের সব কাজ করছেন। আর অপরদিকে স্বামী বাসায় ফিরে সবসময় পড়ে থাকেন অনলাইনে। নিজের সন্তানের কান্নাটাসহ স্ত্রীর প্রতিটা কথা যেন বিষের মতো লাগে যুবকটির। আজকে বাপের বাড়ি যাচ্ছে তার স্ত্রী।  বহুদিন বেড়ানো হয় না। স্বামী অফিসের কাজে ব্যস্ত যেতে পারবেনা। বাসায় ফিরে টেবিলে কার স্ত্রীর চিঠি পড়ে কোথাও যেন তার বিবেক দংশিত হতে লাগল।মনে হলো খুব বেশি অন্যায় করে ফেলছি। আর নয় এবার ফিরতে হব৷ আপন নীঁড়ে।যেথায় আমার সুখ নিহিত। 

হিজল বনের গান গল্পটিতে লেখক মায়ের স্মৃতি তুলে ধরেছেন। একজন মা তার বাড়িতে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ারর আগ অবধি নিজের বাসস্থানের দৈনন্দিন অনেক কাজ করেন।কল্পনার আশ্রয়ে লেখক তা তুলে ধরেছেন।  

‘বিশ্বাস’ গল্পটিতে লেখক বাংলার আপামর জনতার পীর পূজারীর বর্ণনা গল্পে গল্পে তুলে ধরেছেন।মানুষ কতটা অন্ধভক্ত হয়ে নিজের জমানো সব অর্থ সম্পদ ভন্ড পীরের কবলে পড়ে বিসর্জন দেয় তার চিত্র তুলে ধরেছেন। খুব অল্প বয়সী পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেটি পীরের চালাকি বুঝতে পারল অথচ অন্ধ ভক্তরা বুঝতে পারলনা। 

‘সুখ’ গল্পটাই সুখ বলতে আত্নতৃপ্তি কে বুঝিয়েছেন আরিফ আজাদ। একজন সৎ কর্মচারী পাপী লোকে সঙ্গে থেকে পাপ করার চেয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়া কে প্রাধান্য দিয়েছেন। পাপ আর পঙকিলতার সাথে জড়িত থেকে তিনি চাকরি করতে নারাজ। অবশেষে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরও মনে কোথাও যেন চিন্তার কোনো ছাপ নেই। নেই কোনো ভয়, প্রিয়তমার জন্য ফুল কিনে নিয়ে যায় যুবকটি। মনে শুধু সুখ আর সুখ। লেখক এখানে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন সকল পরিস্থিতিতে সৎ থাকার মধ্যে প্রকৃত সুখ নিহিত রয়েছে।  

‘বোধ’ গল্পটি বাপ হারা সন্তানের রগচটা রাগের ইস্যু ধরে যেন মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন শাওন।মায়ের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি।এভাবে চলে নিত্যদিন। শাওনের বন্ধুর স্ত্রী বাবু হওয়ার মুহূর্তে শাওন রক্ত দিতে গিয়ে অন্য রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। কাছ থেকে দেখেছেন মা কত কষ্ট করে সন্তানদের পৃথিবীর আলো দেখায়। আর শাওনের মা বিয়ে পর্যন্ত করেনি শাওনের বাবা মারা যাওয়ার পর। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু মেনে নিয়েছেন তার মা। কিন্তু শাওন কত কষ্ট দিয়েছেন কথা কাজ দিয়ে তার মা কে। বোধোদয় হলো শাওনের। মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত হলো তার তনুমন। লেখক এখানে হাজার লাখ কোটি শাওনের জীবনকর্ম তুলে ধরেছেন। তবে সব শাওনদের মনে হয় বুধোদয় হয় না। 

‘বাবাদের গল্প’ লেখক প্রতিটি পিতা কেমন হয় তার বর্ণনা করেছন। বাবারা প্রতিনিয়ত এত কষ্ট করেন নিজের দিকে কখনো তাকানোর সময় পাননি।সবসময় ছেলেদের আবদার পূরণে সচেষ্ট হোন তারা। নিজের সবকিছু দিয়ে সন্তানের চাওয়া পূরণ করেন বাবারা। তারই প্রতিকৃতি বাবাদের গল্প।

‌‌‌‘টু লেট’ গল্পটি জীবনের চলতি পথের গল্প।জীবন চলার পথে আমাদের একটু ভালো থাকার আকুল অনুভূতি টু লেট গল্পে তুলো ধরেছেন লেখক।বেকার জীবনের পরিসমাপ্তি যেন কাটেই না যুবকের, শেষ অবধি ঢাকায় একটু ভালো থাকার পরিবেশ দেখতে না দেখতেই কালো ছায়া নেমে এল শফিকের।করোনার কারণে জব চলো গেলো,অফিসে লোক ছাটাইকরণে শফিক বাদ পড়ল। টু লেট বাসাটি আবার টু লেটের পোস্টার টানানো হলো। 

মহিয়সী গল্পে একজন যুবকের লেখালেখির নেশা ধরে যাওয়া সাজিয়েছেন গল্পে গল্পে আরিফ আজাদ। একসময় যুবকটির ডাক আসে পত্রিকার ফিচার লেখক হিসেবে। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় মহিয়সী নারী নিয়ে ফিচার করতে। কিন্তু তিনি যে মহীয়সী নারীর ফিচার করার দায়িত্ব পেলেন তিনি মুখোশ ধারী মহিয়সী। সবিশেষে যুবক তার মা কে মহিয়সী হিসেবে দেখেছোন ছোট থেকে। সেই গ্নাম বাংলার মহিয়সী মায়ের গল্প লিখেছেন যুবক। যার মধ্যে ভেজালের লেশমাত্র নেই। এমন একজন মহিয়সী মায়ের চিত্র অঙ্কন করেছেন লেখক। যা আমরা আমাদের মায়েদের মধ্যে দেখতে পাই। তথাকথিত আধুনিক নারীবাদীকে মহিয়সী উপাধি দেওয়া নিছক ভন্ডামী, আর গ্রামীণ সহজ সরল মা প্রকৃত মহিয়সীর চিত্রকর্ম তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন লেখক।

‘সফলতার সমাচার’ গল্পে প্রকৃত সফলতা কোথায় নিহিত রয়েছে তার বর্ণনা করেছেন গল্পের আঙ্গিকে আরিফ আজাদ। ক্লাসের আদুভাই খ্যাত ছেলেটি যখন সবকিছুতেই ভালো ছিল শুধু পড়াশোনাটা কেন জানি তার মাথায় ধরেনি। দুপুরের নামাজ পড়তে গিয়ে ক্লাস অর্ধেক চলে যেত। ক্লাসে ঢুকলে সহপাঠীরা হাসাহাসি করত। প্রতিনিয়ত অপমান অপদস্ত করত সহপাঠীরা। স্যার সহপাঠী সহ সবার কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন নামাজী এ ছেলেটি। একসময় আদু ভাই খ্যাত ছেলটির সংসার হয়। যে সংসারে ইসলামের বাগান বপন করেছেন আদুভাই খ্যাত যুবকটি। অপরদিকে তার বন্ধুর ভালো জব সবই হলো, কিন্তু সন্তান মানুষ হলনা। মনের কোথাও যেন শান্তি নেই। এত কষ্টের ক্যারিয়ারে মনের শান্তিটাই আজ বিনষ্ট। সফলতা বলতে যেন সব আদু ভাই কে মানায়, যার সন্তানরা দ্বীনদার, তার বাধ্য, দুনিয়াবী সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আখিরাত কে পাওয়ার জন্য। 

জীবন যেখানে যেমন বইটিতে সর্বোপরি লেখক জীবনের বিভিন্ন স্রোত, আঁকাবাকা, কখনো বা সরল সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। লেখক চেয়েছেন শেষ টা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। যেমন আমরা বলে থাকি শেষ ভালো যার সব ভালো তার।অন্তিম লগ্নে নিজেকে কিভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া যায়, জীবনের অলি গলিতে নিজেকে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, সর্বোপরি কিভাবে সন্তুষ্ট থাকা যায়, সেই জীবনের ছবি এঁকেছেন আরিফ আজাদ। 

আমি একজন শিক্ষার্থী হয়ে বলতে চাই বইটিতে যেন আমার দেখা জীবনাচরণ তুলে ধরেছেন লেখক গল্পে গল্পে। প্রতিটি কথা বাক্যের  যেন আমি পরিচিত। পড়েছি আর মনে হচ্ছে নিজেকে পড়েছি। কোথাও মনের গহিনে নাড়া দিচ্ছে আমি ও তো চেষ্টা করে দেখতে পারি এভাবে। হতে পারি আদর্শ মেয়ে, স্ত্রী, মা। যার মাধ্যমে ইহকাল পরকালে কামিয়াবী হবে।

সফলতার প্রকৃত ঘটনার আমি রচনা করতে পারি। জীবন নিয়ে কিসের এত চিন্তা। জীবন তো রবের ইচ্ছে অনুযায়ী চলবে। জীবনের সকল পরিস্থিতিতে রব্বে কারীমে ওপর ভরসা করার উদাত্ত আহ্বান জীবন যেখানে যেমন বইটি। 

বইয়ের পছন্দনীয়  বাক্যসমূহ-

১. মেয়েরা বোধহয় অন্য ধাতুতে গড়া। একেবারে অপিরিচিত একটা মানুষ, একটা পরিবার, একটা পরিবেশ কে কতো নিবিড় ভাবে আপন করে নেয়। 

২. মিয়া ভাই যে রিজিক আসমান থেইকা আসে, তার লাগি এতো পেরেশানী কিয়ের। 

৩. তোর বাপের মতো হোস নে বাবা।

৪. জীবিত কে নিয়ে ব্যবসা চলে মৃত কে নিয়ে নয়। 

৫. একজন চরিত্রহীন নিকৃষ্ট লোকের পি এস হয়ে থাকার চাইতে হাতিরঝিলে থালা হাতে নিয়ে ভিক্ষে করাটা আমার কাছে অধিক সম্মানের।

৬. বিপদগ্রস্ত লোকের কাছে নিজের বিপদ ব্যতীত বাকি দুনিয়াটা গৌণ।

৭. বুধোদয়ের এমন সুন্দর পরিবেশ কিছুটা ভারী থাকলো মন্দ কী?

৮. এই শহরের দালান গুলোর চূড়া দেখতে হলে ঘাড় অনেকখানি কাত করা লাগে।

৯. সারাজীবন আলো ফেরি করে বাচঁতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই আলো যে নিজের ঘরে জ্বালাতে পারলামনা।

১০. কচু পাতার মতোই ঠুনকো জীবন,হালকা দোলা লাগলে গড়িয়ে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। 

বইয়ের নামঃ জীবন যেখানে যেমন
লেখকঃ আরিফ আজাদ
পৃষ্ঠাঃ ১৪৬
মূল্যঃ ২৩৭ টাকা
একমাত্র পরিবেশকঃ মহাকাল
প্রকাশনীঃ সমকালীন প্রকাশন।

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ

আমারসংবাদ/জেআই