Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ভারতে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেল ড. নূরুন নবীর বই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০১:৪৫ পিএম


  ভারতে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেল ড. নূরুন নবীর বই

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণার জন্য ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের একুশে পদক প্রাপ্ত লেখক ও বিজ্ঞানী ড. নূরুন নবীর লেখা দুটি বই। বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায় এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারত এই দুটি বই ইতিহাস ঐতিহ্য বিভাগে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। লেখক তাঁর যুদ্ধ জীবনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন- বই দুটিতে।

মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে লেখক ড. নূরুন নবী এ পর্যন্ত লিখেছেন ১৭টি বই। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে- অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধ, জন্ম ঝরের বাংলাদেশ, বাংলাদেশে পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায়, জাপানিদের চোখে বাঙালি বীর, স্মৃতিময় নিপ্পন, আমার একাত্তর, জন্মেছি এই বাংলায়, আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি, শামসুর রাহমান-স্বাধীনতার কবি, অন্তরঙ্গ আলোচনায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ববন্ধু, Born in Bangla, Bangabandhu and Turbulet Bangladesh, BULLETS of’71 A Freedom Fighter’s Story. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মাননা- একুশে পদক ২০২০।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন ড. নূরুন নবী। নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে। যুদ্ধের সময় ভারতের আর্মি অফিসারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সনৎ সিং, মেজর জেনারেল গিল এবং লেফটেনেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৯৭২ সালে ফারইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতে তাঁকে ‘দ্য ব্রেইন অব কাদেরিয়া বাহিনী’ বলে উল্লেখ করেছিল।

সম্প্রতি আনুষা নন্দকুমার এবং সন্দীপ স্যাকেটের লেখা- The War that Made R&AW বইটির একটি অধ্যায়ে-  ড. নূরুন নবীর বীরত্ব, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণের আগের ১০ দিনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ছাড়াও বিজ্ঞানী হিসেবে ড. নূরুন নবীর খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোলগেট টুথপেস্টসহ প্রায় ১০০টি পণ্যের পেটেন্ট আবিস্কারক।

৩ শ বছরের পুরনো এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি। ড. নূরুন নবী জানান- ‘পৃথিবীর বৃহত্তম একটি গ্রন্থাগারে গবেষণা করার জন্য একজন লেখকের দুটি বই নির্বাচিত হওয়া যে কোন লেখকের জন্য সম্মান ও গৌরবের। এর মাধ্যমে ভারতবর্ষের নতুন প্রজন্ম এবং পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের গবেষক যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণা করতে চান, তারা সঠিক তথ্য সহযোগিতা পাবে বই দুটির মাধ্যমে’।