পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেট, ভোগান্তি চরমে

সিলেট ব্যুরো প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১১:০৯ এএম
পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেট, ভোগান্তি চরমে

পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। 

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে লাঠি হাতে সিলেটের সবকটি প্রবেশদ্বার ও মূল সড়কে ‘পিকেটিং’ শুরু করেছেন। ফলে সব ধরনের গণপরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারনে শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবিরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

চাকরিজীবি শামসুদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, সকালে রাস্তায় পরিবহন না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে রিকশাযোগে অফিসে এসেছি। এতে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে।

আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, অফিসে আসার পথে রাস্তার পরিবহন শ্রমিকদের জেরার মুখে পড়েছি। সকালে ভোগান্তি নিয়েই অফিসে এসেছি; ফেরার পথে কী করব জানিনা।

চাকরিজীবি ওমর জাহিদ জানান, গণপরিবহন না পেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে অফিসে এসেছি। এতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে।

গত রোববার এক জরুরি সভা শেষে কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

এদিকে সোমবার রাতে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলো প্রশাসন। তবে সে অনুরোধকে প্রত্যাখান করে আজ ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন কর্মবিরতি পালনে নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছেন সিলেটের পরিবহন শ্রমিক নেতারা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার জেলায় এবং আগামীকাল (বুধবার) থেকে পুরো সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও উপকমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। এছাড়াও অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পথে হাঁটলেও শুধু আশ্বাসের মধ্যেই তাদের বার বার আটকে রাখে প্রশাসন। তাদের কোনো একটি দাবিও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মঙ্গলবার সিলেট জেলায় এবং আগামীকাল বুধবার থেকে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করবেন পরিবহন শ্রমিকরা।

কেএস