বড়লেখায় মামলার বাদী ও আইনজীবীকে শোকজ

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ০৩:০৪ পিএম
বড়লেখায় মামলার বাদী ও আইনজীবীকে শোকজ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ভুল তথ্য উপস্থাপন ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একজন সংবাদকর্মীসহ ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে গিয়ে ধরা পড়লেন বাদী শাহজাহান আহমদ চৌধুরী ও তার নিয়োজিত আইনজীবি সহকারী রাজিব আহমদ। মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টার জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে আগামী ২০ কার্যিদবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের আদেশ জারি করেছেন। তথ্য রয়েছে আইনজীবী সহকারী রাজিবের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষকে হয়রানি হুমকি ছাড়া ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করানোর অভিযোগ রয়েছে  রাজিবের বিরুদ্ধে শোকজের খবরে লোকজন ফুসে উঠেছে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালতলী দক্ষিণ গ্রামের নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদত হোসেন জিবান চৌধুরীর  ভাই শাহজাহান আহমদ চৌধুরী হাতে ও আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ করে গনমাধ্যমকর্মী রুয়েল কামাল, দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ফুলু, মাসুক আহমদ, সাইদুর রহমান, রিয়াজ উদ্দিন, মান্না আহমদ ও আকবর আলীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে তাদেরকে আসামী করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর-২৯৪/২২) দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামীরা সঙ্গবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে তার ডান হাতের হাড় ও আঙ্গুল ভেঙে যায়। হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করেন আসামীরা তার পকেটে থাকা টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে।

এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার দুই নম্বর আসামি প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ফুলু অভিযোগ করেন, গত ২৯ জুলাই এ মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টাকারী শাহজাহানের আপন দুই ভাইসহ তাদের স্বজনরা তাকে মসজিদের ভেতর নির্মমভাবে মারধর করে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের জন্য তার স্ত্রী জেবা বেগম হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই শাহজাহান আহমদ এ মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালায়।      

বৃহস্পতিবার ফরিয়াদি শাহজাহান আহমদ চৌধুরী হাত ও আঙ্গুলে ব্যান্ডেজসহ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার দাবি জানান। বাদীর জবানবন্দী প্রদানকালে আদালত সন্দেহ পোষণ করলে প্রথমে আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ খুলে জখমের কোন চিহ্ন মিলেনি। পরে আদালত হাতের ব্যান্ডেজ খোলার নির্দেশ দেন। হাতের ব্যান্ডেজ খুলে সেখানেও জখমের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এরপরই আদালত মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবি সহকারীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে তাদেরকে শোকজ প্রদানের আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইকরাম হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের সন্দেহ হওয়ায় বাদীর ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজ খোলার আদেশ দেন। আর তখনই বেরিয়ে আসে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজিয়ে কতেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এঘটনায় বিজ্ঞ আদালত বাদী ও বাদীর নিয়োজিত আইনজীবি সহকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে কারণ দশানোর নোটিশ দিয়েছেন। এটা ছাড়া ও রাজিবের বিরুদ্ধে উপজেলার ডিমাই এলাকার এক মহিলা দিয়ে মিথ্যা মামলা করান রাজিব এছাড়া পৌর এলাকার রাজিবের এক আত্নীয় দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন, এছাড়া আর ও অনেক তথ্য রয়েছে রাজিবের বিরুদ্ধে আদালত এগুলো পর্যালোচনা করলে মামলা গুলো খারিজ বা বিবাদীর পক্ষে যাবে।  

কেএস