আজ বামনা হানাদার মুক্ত দিবস

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০৩:১৬ পিএম
আজ বামনা হানাদার মুক্ত দিবস

আজ ২৪ নভেম্বর বামনা হানাদার মুক্ত দিবস। ওই দিন কুয়াশাছন্ন ভোর রাতে বামনা থানা ভবন আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক গ্রেনেড আর বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় থানা ভবনের প্রতিটি প্রান্তর। লেজগুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা। বামনা থানার পতাকাস্তম্ভে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। ভোরের সূর্য্য উদীত হওয়ার পূর্বেই বামনা থানা হয় হানাদার মুক্ত।

জানাগেছে, ২৪ নভেম্বর ভোর রাতে মুক্তিকামী যোদ্ধারা পাকিস্তানীদের হাত থেকে বামনাকে মুক্ত করার জন্য থানা ভবনে আক্রমণ করে থানার অভ্যন্তর থেকে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী প্রচণ্ড ভাবে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু অদম্য মুক্তিযোদ্ধারা থানার উত্তর দিকে আকনবাড়ির বাগান ও দক্ষিণ দিকে সারওয়ারজান হাইস্কুল ও পশ্চিমে সদর মসজিদের চারদিকে একটি বেষ্টনী বলয় গড়ে থানাকে লক্ষ্য করে মুক্তিযোদ্ধারা তুমুল বেগে গুলি চালায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নায়েক আমীর হোসেন থানা ভবনে দিকে কয়েকটি গ্রেনেড ছুড়ে মারলে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এর কিছুক্ষণ পরই তারা অদম্য শক্তির কাছে পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়ে পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে। এসময় কয়েকজন রাজাকার ও পাকিস্তানী সেনা এ যুদ্ধে নিহত হয়। ওই দিনই শত্রু মুক্ত বামনা থানার পতাকা স্তম্ভে উল্লাসিত মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে বিজয় উল্লাস করে।

বামনা থানা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বামনা উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বামনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ সকাল সাড়ে আটটায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ আলোচনা সভার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার বলেন, বামনা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রা, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ দিনটি পালিত হবে। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

এসএম